এটি একটি নতুন রোগের নাম। অনেকের কাছেই নামটি নতুন লাগবে। ২০১২ সালে সৌদি আরবে প্রথম এ রোগ ডায়াগনসিস হয়। এক ধরনের ভাইরাস দিয়ে অসুখটি হয়। এ বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালে যারা হজে যাবেন তাদের অবশ্যই অসুখটির ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।
মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোমের জন্য যে ভাইরাস দায়ী তা একধরনের করোনাভাইরাস। এটিকে নোভেল করোনাভাইরাসও বলা হয়। সার্স অসুখের জন্য যে যে করোনাভাইরাস দায়ী মার্স অসুখের জন্য কিন্তু সে করোনাভাইরাস দায়ী নয়। তবে মার্স অসুখের জন্য দায়ী ভাইরাস বেশি বিপজ্জনক বলে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন। মার্স অসুখের জন্য দায়ী ভাইরাস একজনের থেকে অন্যজনে ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমে সুস্থ মানুষ আক্রান্ত হন। এই অসুখের লক্ষণের মধ্যে আছে তীব্র শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়া, অসস্তি, শরীর ব্যথা, অল্পতেই হাঁপিয়ে যাওয়া ইত্যাদি। এটি খুব জটিল ভাইরাস। সাধারণ ভাইরাস সর্দি জ্বরের থেকে এর তীব্রতা অনেক বেশি। উন্নত দেশে পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে সহজেই রোগটি ধরা যাছে। কিন্তু আমাদের দেশ এক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে। আরো কিছু পরীক্ষা আছে রোগটি ধরার জন্য যদিও সেগুলো এফডিএ অনুমোদিত নয়।
মার্স অসুখের কোন সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। সাধারণত লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা করা হয়। তবে এ ধরনের রোগীদের সাবধানে চিকিৎসা করা উচিত। আলাদা ওয়ার্ডে বা সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করা উচিত। চিকিৎসকদেরও সাবধানতার সাথে মার্স অসুখের রোগী দেখতে হবে। তা না হলে তারাও আক্রান্ত হতে পারেন। আর এ রোগে মৃত্যুহার অনেক বেশি। প্রায় ৬৫ ভাগ রোগী মারা যায়। মার্স অসুখের কোন ভ্যাকসিন নেই। তবে গবেষণা চলছে আশা করা যায়। অতিদ্রুত ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। মার্স আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে দূরে থাকতে হবে। হজের সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু ব্যবহার করা উচিত। আক্রান্ত ব্যক্তির ভিড়ের মধ্যে যাওয়া কোনভাবেই উচিত হবে না। তা হলে অনেকে এ অসুখে আক্রান্ত হতে পারেন। একটু সাবধানতা ও সচেতনতা এ অসুখের প্রকোপ অনেক কমাতে পারে।
ষ ডা. মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন