শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত গ্রন্থে বিশ্ব নেতাদের অন্যতম শেখ হাসিনা

| প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বাসস : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের বর্তমান ১৮ জন নারী জাতীয় নেতাদের মধ্যে অন্যতম হিসেবে চিত্রিত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত এক গ্রন্থে এর উল্লেখ করা হয়েছে বলে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
‘নারী প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী’ শীর্ষক এ গ্রন্থের প্রচ্ছদে অপর ৬ জন বিশ্ব নেতার সঙ্গে শেখ হাসিনার ছবি মুদ্রিত হয়েছে। গ্রন্থটির লেখক হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মানবাধিকার কর্মী ও শিক্ষাবিদ রিচার্ড ও’ব্রেইন।
ওয়াশিংটন ডিসির ওমেন্স ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ক্লাবে (ডবিøউএনডিসি) বিদেশী কূটনীতিক, নারী নেত্রী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে গ্রন্থটি প্রকাশ করা হয়। লেখক গ্রন্থটিতে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় একনিষ্ঠতা ও কঠোর পরিশ্রম, তাঁর জীবননাশের চেষ্টা এবং বাংলাদেশের ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক অর্জন লিপিবদ্ধে ৩ পৃষ্ঠা উৎসর্গ করেন।
ও’ব্রেইন বাংলাদেশকে অধিকতর স্থিতিশীল ও অধিকতর গণতান্ত্রিক এবং অপেক্ষাকৃত কম হিংসাত্মক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রয়াসের প্রশংসা করেন। এ প্রসঙ্গে লেখক শেখ হাসিনার এই উক্তি উদ্ধৃত করেন যে, ‘বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত ও ক্ষুধামুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারলেই আমি গর্বিত হব।’
গ্রন্থে প্রধানমন্ত্রীর পারিবারিক পটভূমির উল্লেখ করে বলা হয়, তার পিতা শেখ মুজিবুর রহমান আধুনিক বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং তিনি দেশটির প্রথম  প্রেসিডেন্ট ছিলেন। লেখক ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের বর্ণনা দিয়ে উল্লেখ করেন যে, ওই সময়ে শেখ হাসিনা ও তার বোন (শেখ রেহানা) দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান।
ও’ব্রেইন ১৯৮১ সালে নির্বাসন থেকে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের উল্লেখ করে বলেন, আওয়ামী লীগকে পরিচালনার নেতৃত্বের পদে নির্বাচিত হয়ে তিনি নির্বাচনী কারচুপি ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। সে সময় তাকে দমন ও নির্যাতনের শিকার হতে হয় এবং ৮০’র দশকে তিনি গৃহবন্দী হন। লেখক এরশাদ শাসনামলের উল্লেখ করে বলেন, সরকারের নির্যাতন সত্তে¡ও শেখ হাসিনা এতই প্রভাবশালী ও জনপ্রিয় ছিলেন যে, তার চাপে ১৯৯০ সালে একজন সামরিক জান্তাকে পদত্যাগ করতে হয়। লেখক বলেন, অনেক প্রতিবন্ধকতা সত্তে¡ও শেখ হাসিনা ও তার সরকার ১৯৯৭ সালে যুগান্তকারী পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি, স্থলমাইনের ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ ও ক্ষুদ্র ঋণ সম্মেলনে সভাপতিকে সহায়তা ও নারী কল্যাণ গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাসহ অনেক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেছেন।
রিচার্ড তার গ্রন্থে শান্তি ও গণতন্ত্রের বিকাশে শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির উল্লেখ করে বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) মাদার তেরেসা পদক ও গান্ধী পদক অর্জন করেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Bithi ৩০ জুন, ২০১৭, ৩:১১ এএম says : 2
PM Sheikh Hasina, we are proud of you.
Total Reply(0)
harun ur rashid ৩০ জুন, ২০১৭, ৩:০৮ পিএম says : 1
I consider she is 2nd Indira Ghandi in the world. Her statesmanship charisma and courage give her a extra high position in the world politics. We pray her long live for better tasks to our nation.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন