শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

চোখ বেঁধে মাইক্রোতে তুলে নেয়া হয় ডিবিকে ফরহাদ মজহার

| প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আদালতে জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে নিজ জিম্মায় যাওয়ার অনুমতি
বিশেষ সংবাদদাতা : চোখ বেঁধে সাদা রঙের একটি মাইক্রোতে করে আমাকে তুলে নেয়া হয়- ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে এমন তথ্য দিয়েছেন কবি ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহার। নিখোঁজ থাকার ১৯ ঘণ্টা পর যশোরের অভয়নগর থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে প্রথমে আদাবর থানা ও পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নেয়া হয়। সবশেষে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করতে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাকে নেয়া হয় ঢাকার মহানগর হাকিম আহসান হাবীবের আদালতে। পরে জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে নিজ জিম্মায় যাওয়ার অনুমতি দেন আদালত। আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া, জয়নাল আবেদিন মেজবাহ, জিয়াউদ্দিন জিয়ার মাধ্যমে ফরহাদ মজহার এ আবেদন করেন।
ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে গতকাল ডিবির যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন সাংবাদিকদের বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ফরহাদ মজহার আমাদের জানিয়েছেন, সোমবার ভোরে বাসা থেকে বের হওয়ার পরপরই একদল দুর্বৃত্ত তাকে ধরে চোখ বেঁধে একটি সাদা মাইক্রোতে তুলে নিয়ে যায়। তিনি স্বেচ্ছায় বাসা থেকে বের হয়েছিলেন, না কি ফোন করে তাকে বাসার বাইরে আনা হয়েছিল- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবির এ কর্মকর্তা বলেন, তিনি (ফরহাদ মজহার) আমাদের জানিয়েছেন, ওষুধ কেনার জন্য তিনি বাসা থেকে বের হন। তাকে কেউ ফোন করেননি। বাসা থেকে বের হওয়ার পরই তাকে জোর করে অপহরণ করা হয়। স্ত্রীর দায়ের করা ‘অপহরণ’ মামলা প্রসঙ্গে আব্দুল বাতেন বলেন, অপহরণ মামলার বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। তদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। ফরহাদ মজহারের নিখোঁজের ঘটনায় সোমবার রাতেই স্ত্রী ফরিদা আক্তার বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০৪। এর আগে, তিনি জিডি করেছিলেন। জিডি নং- ১০১।
ডিবির ওই কর্মকর্তা আরও জানান, নিখোঁজের পর উদ্ধার হওয়া পর্যন্ত পুরো বিষয়টি জবানবন্দি হিসেবে গ্রহণ করা হবে। এ কারণে তাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নেয়া হচ্ছে। সোমবার রাতে যশোরের অভয়নগরের একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে ফরহাদ মজহারকে উদ্ধারের পর মঙ্গলবার সকালে তাকে নেয়া হয় আদাবর থানায়। সেখান থেকে তেজগাঁওয়ের ডিসি কার্যালয়ে নেয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদ করতে পরে তাকে নেয়া হয় মিন্টো রোডে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে। গত ৩ জুলাই সোমবার ভোরে শ্যামলীর রিং রোড ১ নং হক গার্ডেনের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন ফরহাদ মজহার। পরবর্তীতে তিনি স্ত্রীকে মোবাইলে ফোনে জানান, কে বা কারা তাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছেন। তাকে মেরেও ফেলা হতে পারে। সন্ধ্যা পর্যন্ত ৬ বার ফোন করে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাৎক্ষণিক উদ্যোগ নিয়ে মোবাইল ট্রাকিং করে তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে ১৯ ঘণ্টা পর যশোরের অভয়নগরের একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে তাকে উদ্ধার করে। তবে কিভাবে তিনি যশোর পৌঁছালেন বা কারা তাকে সেখানে নিয়ে গেছে সে সব বিষয় এখনও পরিষ্কার নয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
জাফর ৫ জুলাই, ২০১৭, ৮:০০ এএম says : 0
বিষয়টি কঠিনভাবে তদন্ত করা উচিত।
Total Reply(0)
সাজ্জাদ ৫ জুলাই, ২০১৭, ৮:০০ এএম says : 0
খুঁজে বের করতে হবে এই ঘটনার সাথে কারা কারা জড়িত।
Total Reply(0)
আশিক ৫ জুলাই, ২০১৭, ৮:০১ এএম says : 0
বিষয়টি খুবই উদ্বেগ ও চিন্তার।
Total Reply(0)
Journalist ৫ জুলাই, ২০১৭, ৮:২৭ এএম says : 0
ঘটনাপ্রবাহ যা ইঙ্গিত করছে তাতে মনে হয় জনাব ফরহাদ মাজহারকে স্থল সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়েছিল।যেমন বিএনপির সালাউদ্দিন সাহেবকে নেয়া হয়েছিল। মনেকরি দীর্ঘদিন থেকে যারা নিখোঁজ রয়েছে তাদেরকেও এমনি ভাবে ভারতে নিয়ে হয় মেরে ফেলা হয়েছে নয় গুম করে রাখা হয়েছে।
Total Reply(0)
Shihab Ahmed ৫ জুলাই, ২০১৭, ১:৫২ পিএম says : 0
যেভাবে দেশে নির্বিচারে গুম খুনের মহড়া চলছে তাতে কেহই নিরাপদে জীবন যাপন করতে পারবে না।
Total Reply(0)
Sana Ullah ৫ জুলাই, ২০১৭, ১:৫৩ পিএম says : 0
কি যে অবছতা দেশের ?
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন