স্টাফ রিপোর্টার : আগামী ১২ মার্চ এইডস নিয়ে তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকায়। বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে ‘আইক্যাপ (আইসিএএপি) ১২ ইন্টারন্যাশনাল কংগ্রেস অন এইডস ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসেফিক’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক এ সম্মেলন উদ্বোধন করবেন প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান। প্রতিমন্ত্রী জানান, এবার সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘বি দ্য চেঞ্জ ফর অ্যান এইডস ফ্রি জেনারেশন, আওয়ার রাইট টু হেলথ’ অর্থাৎ এইডসমুক্ত প্রজন্ম গড়তে পরিবর্তন, আমাদের স্বাস্থ্যের অধিকার।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এইডস বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন হচ্ছে একটি আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক ফোরাম, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নীতিনির্ধারক, সরকারি প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, গবেষক, সংবাদ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, বিভিন্ন কমিউনিটি গ্রæপের প্রতিনিধি ও এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করে থাকেন।
গত ২০ বছর ধরে ফোরামটি এইডস বিষয়ে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। যাতে এ অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর মধ্যে এইডস বিষয়ে জ্ঞান ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি পায়।
বাংলাদেশে আট হাজারের মতো এইডস রোগী রয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এর মধ্যে তিন হাজারের মতো রোগী রেকর্ডভুক্ত, যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন। দেশে মোট জনসংখ্যার ‘শূন্য দশমিক শূন্য এক শতাংশ’ এইচআইভি আক্রান্ত রোগী বলেও জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশি যারা একা একা থাকেন তাদের এইডসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আমাদের বিমানবন্দরে এগুলো শনাক্ত করার ব্যবস্থা নেই। তাই দেশের নারীদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বেশি।
জাহিদ মালেক বলেন, ১৯৯০ সালে প্রথম অস্ট্রেলিয়ায় সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি দুই বছর পরপর এ অঞ্চলের যেকোনো একটি রাষ্ট্রে সম্মেলনটি হয়। ইতোমধ্যে এটি মালয়েশিয়া, জাপান, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা ও ভারতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১১টি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সর্বশেষ ২০১৩ সালে ১১তম আইক্যাপ থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের ৫৬টি দেশ থেকে সম্মেলনে প্রায় এক হাজার বিদেশি প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবে। সম্মেলনে বিভিন্ন পর্যায়ের ৫০টি বৈজ্ঞানিক সেশনসহ তিনটি প্ল্যানারি সেশন অনুষ্ঠিত হবে। আনুমানিক ৪০০-এর উপরে বক্তা বিভিন্ন বিষয়ে বৈজ্ঞানিক ও গবেষণামূলক প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন। সম্মেলনটির জন্য একটি স্বতন্ত্র ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, এতে নিয়মিত তথ্য অন্তর্ভুক্ত ও হালনাগাদ করা হয়।
বাংলাদেশ স্বাস্থ্যখাতে যে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে এবং ওষুধ শিল্পে যে সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে সম্মেলনে তা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে। যাতে এর প্রসারতা আরও বৃদ্ধি পায় এবং বাংলাদেশের বাজার সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী আরও উঁচু ধারণা গড়ে ওঠে। সম্মেলনে দুই মিলিয়ন ডলার বা ১৬ কোটি টাকা ব্যয় হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে বিদেশি সংস্থাগুলো এ অর্থায়ন করবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন