বিশেষ সংবাদদাতা, চট্টগ্রাম ব্যুরো : আষাঢ়ের দ্বিতীয়ার্ধে এসে অঝোর বর্ষণের মাত্রা আরও বেড়ে যেতে পারে আগামী সপ্তাহে। এর পেছনে নিয়ামক হলো বর্ষারোহী মৌসুমি বায়ুমালা বাংলাদেশের উপর এখন সক্রিয় রয়েছে। বাংলাদেশ সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে জোরদার অবস্থায় রয়েছে। গতকাল (বুধবার) আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ সূত্র একথা জানিয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারে ২৭১ মিলিমিটার। এ সময় ঢাকায় ৫২, চট্টগ্রামে ৫৭, ময়মনসিংহে ১৯, রাজশাহীতে ৩৩, খুলনায় ৬৪, বরিশালে ৫৫ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। বর্ষণের সাথে ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে।
এদিকে চট্টগ্রাম ও সিলেটে পাহাড়ধসের সতর্কতা বহাল রাখা হয়েছে। পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা গতকালসহ দু’দিনে বৃহত্তর চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রামের কাটা-খোঁড়া-ছাঁটা, বেদখল হওয়া ও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের অবস্থা সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করেছেন। কমিটি চলতি জুলাই মাসের শেষে অথবা আগস্টের প্রথম দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাহাড়ধস রোধ, বসবাসরতদের পুনর্বাসন এবং বেদখল বন্ধ কার উপায় সম্পর্কে প্রতিবেদন ও সুপারিশ পেশ করতে পারেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। গতকাল আবহাওয়া দপ্তর জানায়, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুমালার প্রভাবে গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ কারণে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভ‚মিধসের আশঙ্কা রয়েছে।
আজকের (বৃহস্পতিবার) আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘন্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমলেও এর পরের ৫ দিনে বর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন