ময়মনসিংহ আঞ্চলিক অফিস : ময়মনসিংহে মনিরুজ্জামান রনি নামের মহানগর যুবলীগের এক নেতার নেতৃত্বে তার লোকজন পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামিকে ছিনতাই করে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে একই গ্রæপ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ২নং পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে শান্ত নামে এক হামলাকারিকে আটক করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাতেই অভিযান চালিয়ে সাজ্জাদ নামে আরেক হামলাকারিকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (টিএসআই) ফারুক জানান, কলেজ রোড রেল ক্রসিং মোড়ে হযরত আলী নামের একজনের মোটরসাইকেল ভাংচুর করছিল আসাদুল্লাহ অপু। বাধা দিলে আমাদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে অপু ও তার সহযোগীরা। পরে অপুকে গ্রেফতার করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসার পথে মহানগর যুবলীগের সদস্য রনি পাঁচটি মোটরসাইকেল নিয়ে আমাদের গতিরোধ করে। তারা ধস্তাধস্তি করে অপুকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় অপু বারবার গুলি করার নির্দেশ দেয় রনিকে। এ ঘটনায় আমি ও আমাদের দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অপু এক যুবককে কোপানো এবং বাড়ি পোড়ানো মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) নূরে আলম জানান, মোটরসাইকেল ভাংচুরের ঘটনায় বাদী হযরত আলীকে ছিনিয়ে নিতে রাত ১২টার দিকে ২নং পুলিশ ফাঁড়িতে ভাংচুর চালায় রনি বাহিনী। এসময় শান্ত নামের একজনকে ও পরে অভিযান চালিয়ে আরেকজনকে আটক করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, হামলা চালিয়ে পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনতাই, এরপর ফাঁড়িতে এসে পুলিশের উপর স্বশস্ত্র হামলা-ভাংচুর এটা দু:সাহসিক কাজ। হামলাকারিদের নাম-পরিচয় আমাদের হাতে এসেছে। এসব সন্ত্রাসীদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খুব শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।
তিন মামলা
এ ঘটনায় মনিরুজ্জামান রনিসহ ৩৫ জনকে আসামি করে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে কোতোয়ালী মডেল থানায় দায়ের করা এ তিনটি মামলার দুটির বাদী পুলিশ এবং অপরটির বাদী হযরত আলী নামের এক ব্যক্তি। কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, পুলিশী কাজে বাধা, আসামি ছিনতাই, ভাংচুর ও অবৈধ অস্ত্র রাখার অপরাধে দ্রæত বিচার আইনে মামলাগুলো করা হয়েছে। ফাঁড়িতে হামলার সময় শান্ত নামের একজনকে ও রাতে অভিযান চালিয়ে সাজ্জাদ নামে আরেকজনকে আটক করা হয়। তাদেরকে পুলিশী হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন