মোঃ হেলাল উদ্দিন, (কিশোরগঞ্জ) নিকলী থেকে : কিশোরগঞ্জের হাওড় অধ্যুশিত উপজেলার অন্যতম নিকলী। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে নিকলী সদর ইউনিয়ন রাজনীতি সহ বহুবিধ কারনে এই ইউনিয়নটি অনেক গুরুত্ব বহন করে। এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রয়াত আওয়ামীলীগ নেতা কারার বুরহান উদ্দিনের মৃত্যুজনিত কারনে পদটি শূন্য হয়। তাই আসন্ন ১৩ই জুলাই উক্ত ইউনিয়নে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সরকারী দল আওয়ামীলীগের নৌকার মার্কার প্রার্থী, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কারার শাহরিয়ার আহমেদ (তুলিপ)। জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ধানের শীষ মার্কা নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন, সাবেক উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও সিনিয়র সহ-সভাপতি ডাঃ কফিল উদ্দিন আহমেদ। যিনি দলীয় প্রতীক ছাড়া আরও দুই বার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেছেন। দু’বারই তিনি অল্প ভোটের ব্যবধানে প্রয়াত আওয়ামীলীগ নেতা কারার বুরহান উদ্দিনের কাছে হেরে যান। সে সুবাধে এই উপ-নির্বাচনে তার উপর সাধারন মানুষের আস্থা ও ভালবাসা এবং জনগনের অনুকম্পা লক্ষ্য করা যায়। নির্বাচনের শুরু থেকেই নির্বাচনী প্রচারনায় সরব ছিল বিএনপি’র নেতাকর্মী বৃন্দ। নির্বাচনের মাঝপথে এসে ভেসে উঠল বিএনপি’র মধ্য বিভেদের সুর। হঠাৎ জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলামের এক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সদর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা চান্দালী মেম্বারকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে বিএনপি’র সাধারন সদস্য পদ সহ সকল পদ থেকে তাকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়। বহিস্কার ইস্যুকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক আবু সাঈদের উপর হামলা করে চান্দালী গ্রæপ। এতে যুবদল নেতা সহ তিনজন আহত হয়। সাধারন সম্পাদক আবু সাঈদের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে আবু সাঈদ পন্থিরা। অন্যদিকে বহিস্কৃত নেতা চান্দালী মেম্বারের অনুসারীরা বহিস্কার আদেশের বিরুদ্ধে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে সমাবেশ ও প্রতিবাদ মিছিল বের করে। এসব অবস্থায় সঙ্কাবোধ করছে বিএনপি’র সিনিয়র নেতৃবৃন্দরা। এসব নেতৃবৃন্দ এখন আর কেউই মাঠ পর্যায়ে সক্রিয় রাজনীতির সাথে জড়িত নয়। বিএনপি’র বর্তমান পরিস্থিতিও সদর ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে কথা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা এ প্রতিনিধিকে জানান যে নিকলীতে দলের মধ্য গ্রæপিং এর জন্য জেলা বিএনপি’র কতিপয় নেতৃবৃন্দ দায়ী বলে মনে করেন। দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য এবং বিএনপি’র ভিতরে কোন্দল মিটাতে সদর বিএনপি’এর সকল অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য নিরন্তন ভূমিকা পালন করে চলেছে জেলা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ। নিকলীতে বিএনপি’র প্রার্থীর পক্ষে সমাবেশ প্রচারনায় অংশ নেন জেলা বিএনপি’র সভাপতি শরিফুল আলম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল, জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম। গতকাল বিকাল চারটায় নিকলী বিএনপি’র দলীয় কার্যালয় বকুলতলায় দলীয় প্রার্থীর পক্ষে এক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ্যাডভোকেট বদরুল মোমেন মিঠুর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি সালেহউজ্জামান খান রুনু, জেলা বিএনপি‘র সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ (ভিপি) সোহেল, হোসেনপুর উপজেলার চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম মবিন, নিকলী উপজেলার যুবদলের সভাপতি আতিকুল ইসলাম তালুকদার (হেলিম)। বিএনপি’র সূত্রে জানা যায় সদর ইউনিয়নে ভোটের সংখ্যা আওয়ামীলীগ থেকে অনেক বেশী। সদর বিএনপি‘র নেতাদের সাথে নির্বাচন সর্ম্পকে কথা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিনিধিকে জানান যে বর্তমানে ইউনিয়ন উপ-নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাডভোকেট বদরুল মোমেন মিঠু গ্রæপ, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নেতা শফিকুল আলম রাজন গ্রæপ এবং প্রার্থী ডাঃ কফিল উদ্দিন আহমেদের গ্রæপসহ আমরা সাধারণ বিএনপি’র নেতাকর্মীরা প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে যাচ্ছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন