শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বঙ্গোপসাগরে ডুবে গেছে কার্গো বিমান : ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার নিহত, পাইলটসহ দুজন নিখোঁজ

প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:১৯ পিএম, ৯ মার্চ, ২০১৬

কক্সবাজার অফিস : কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক এলাকার কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরে ডুবে গেছে একটি কার্গো বিমান। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ওই কার্গো বিমানের ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ারের মৃত্যু হলেও একজন ক্যাপ্টেনকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও দুইজন ক্রু নিখোঁজ রয়েছে। ‘ব্লু ভিশন’ নামের ওই কার্গো সার্ভিসটি পরিচালনা করতেন মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক।
সকাল সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত তাদের উদ্ধারের কোন খবর পাওয়া যায়নি। উদ্ধার অভিযানে থাকা স্থানীয় যুবক আনসারুল করিম জানান, কার্গো বিমান ডুবে যেতে দেখে তারা মাছ ধরার বোটে করে কূল থেকে অন্তত ১ কিলোমিটার সাগর থেকে একজনকে উদ্ধার করে। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহায়তায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তারা। এর কিছুক্ষণ পর আরেকজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
স্থানীয় যুবক জামশেদ, মাহবুব জানান, তারা অন্তত ২০টি মাছধরার ট্রলার নিয়ে উদ্ধারে গেছেন। তবে প্রায় দেড় ঘণ্টা যাবত বিমান বন্দরসহ সরকারি কোন কর্তৃপক্ষ কিছুই জানেনি। পরে দমকল বাহিনী, কোস্টগার্ড ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
স্থানীয় কাউন্সিলর আকতার কামাল জানান, নাজিরারের অদূরে হওয়ায় বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার দৃশ্য এলাকার লোকজন ও জেলেদের নজরে আসে। তাৎক্ষণিক তারা বোট নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পাইলট ও ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ারকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সাধন কুমার মোহন্ত জানান, পোনা বোঝাই করে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে রওয়ান দিয়ে নাজিরারটেকের অদূরে গিয়ে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। ঘটনার সাথে সাথে আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিই।
ফায়ার সার্ভিস কক্সবাজার স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন জানান, স্থানীয় কাউন্সিলর আকতার কামালের দেয়া সংবাদের ভিত্তিতে আমরা সাগরে গিয়ে তাদের উদ্ধার করি।
দুর্ঘটনার শিকার ‘ব্লু ভিশন’ নামের কার্গো বিমানটি যশোরের উদ্দেশ্যে সকালে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে রওয়ানা হয়। ওই কার্গো সার্ভিসটি পরিচালনা করতেন মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক। এ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে আশেক উল্লাহ রফিককে ফোন করলে তিনি মুঠোফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন জানান, নিহত ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ারের মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের রাখা হয়েছে। আহত অপরজনের চিকিৎসা চলছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন