বগুড়ার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় রবিবার যমুনার পানি বিপদ সীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া বাঙালী নদীর পানিও বাড়ছে। তবে তা এখনো বিপদসীমার নীচে রয়েছে। যমুনার পানি বাড়ায় যমুনা তীরবর্তী সারিয়াকান্দি উপজেলার নিম্নাঞ্চলের আরো কিছু নতুন এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নেয়া লোকজনের সংখ্যা বাড়ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৫ সেন্টিমিটার বেড়েছে । বগুড়ার যমুনার তীরবর্তী ৩ উপজেলা সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হলেও সবচেয়ে বেশি এলাকা বন্যাকবলিত হয়েছে সারিয়াকান্দি উপজেলা। এখানকার ১১ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯ টি ইউনিয়নেরই আংশিক এলাকা বন্যাকবলিত হয়েছে। এর মধ্যে কুতুবপুর, চন্দনবাইশা, ও কামালপুর ইউনিয়নের বন্যাকবলিত গ্রামের সংখ্যা বেশি।
উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, প্রায় ১০ হাজার পরিবার বন্যা কবলিত হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ পরিবার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর আশ্রয় নিচ্ছে। প্রতিদিনই বাঁধে আশ্রয় নেয়া বন্যার্তদের সংখ্যা বাড়ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যাকবলিত এলাকার লোকজনের দুর্ভোগ বাড়ছে। ইতোমধ্যে উপজেলার ৪৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যার কারণে শিক্ষাদান বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে ৫টি। প্রায় ৩ হাজার ৩শ’ হেক্টর জমির জমির আউশ, রোপা আমন, পাট ও সবজি আবাদ বন্যায় বিনষ্ট হয়েছে। সারিয়াকান্দি ছাড়াও সোনাতলা এবং ধুনট উপজেলার আরো কিছু নিম্নাঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়েছে রোববার।
সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান আহসানুল তৈয়ব জাকির , সারিয়াকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান হিরু এবং ধুনট উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম মামুন বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন ।
বগুড়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নুরে আলম সিদ্দিকী জানিয়েছেন , প্রাথমিক ভাবে বন্যাকবলিত সারিয়াকান্দি উপজেলার জন্য ১০০ এবং ধুনট উপজেলার জন্য ৫০ করে মোট ১শ ৫০ টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে । এছাড়াও সারিয়াকান্দির জন্য নগদ এক লাখ টাকাও বরাদ্দ করা হয়েছে ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন