অর্থনৈতিক রিপোর্টার: কর মামলায় আটকে থাকা রাজস্বের অংক ছাড়িয়েছে ১৭ হাজার ৭২ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রনালয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এর ফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আহরণে। এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তারা মনে করেন যত দ্রæত এসব মামলা নিষ্পতি করা যায় দেশের জন্য তা ইতিবাচক। তবে, এক্ষেত্রে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি বা এডিআরকে গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। বলছেন, করদাতা এবং কর কর্মকর্তা উভয়েরই থাকতে হবে মীমাংসার মানসিকতা।
ব্যক্তির আয় বা কোম্পানির মুনাফার ওপর আয়কর দিতে হয়। একে বলে প্রত্যক্ষ কর। আর পন্য আমদানি করতে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে দিতে হয় শুল্ক। ভ্যাট দিতে হয় পন্য ও সেবার ক্ষেত্রে। একে বলে পরোক্ষ কর। আর এসব মিলিয়ে যে রাজস্ব পায় সরকার তা দিয়েই চলে দেশ ও অর্থনীতি।
তবে আয়কর, শুল্ক বা ভ্যাট-এ তিন খাতে ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা স্বাভাবিক নিয়মে যেমন রাজস্ব দেন; তেমনি ফাঁকিও কম নয়। আর ফাঁকি ধরলেই কোনো কোনো করদাতা মামলা করে আটকে দেন রাজস্ব।
টাকার অংকে বিরোধপূর্ণ রাজস্বের পরিমানও কম নয়। স¤প্রতি অর্থমন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয় বিভিন্ন মামলায় আটকে আছে ১৭ হাজার ৭২ কোটি টাকার রাজস্ব। এর মধ্যে শুল্ক সংক্রান্ত মামলায় আটকে আছে ৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা, ভ্যাট সংক্রান্ত মামলায় ৫ হাজার ৮৪৫ কোটি টাকা এবং আয়কর মামলায় আটকে আছে ৮ হাজার ১৬৭ কোটি টাকার রাজস্ব। এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে ২০১২ সাল থেকে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি বা এডিআরকে গুরুত্ব দিচ্ছে এনবিআর। অর্থাৎ করদাতা ও করকর্মকর্তার উপস্থিতিতে সমঝোতার মাধ্যমে মামলা নিষ্পতি। তবে, এখনও এডিআর পদ্ধতিতে মীমাংসার এ বিষয়টি খুব বেশি পরিচিতি পায়নি। এনবিআরের সাবেক এই কর্মকর্তা বলছেন, আয়করের ক্ষেত্রে এডিআরে মামলা নিষ্পত্তির হার কিছুটা বেশি। গেল পাঁচ বছরে আয়কর বিষয়ক ৮৯৯ টি মামলার মধ্যে পুরোপুরি নিষ্পত্তি হয়েছে ৫১৯ টি। এনবিআর জানায়, এডিআরকে দক্ষতার সাথে কার্যকর করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর ফলে মামলা করে রাজস্ব আটকে দেয়ার ঘটনা কমে আসবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন