স্টাফ রিপোর্টার : চিকুনগুনিয়া সম্পর্কে ভয় কাটাতে জনসচেতনতা কার্যক্রম জোরদারে চিকিৎসকদেরকে আরো তৎপর হবার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। মানুষের মনের ভয় কাটাতে ও রোগের চিকিৎসা বিষয়ক পরামর্শ প্রদানে চিকিৎসকরাই বড় ভ‚মিকা রাখতে পারেন। এ জন্য পথসভাসহ জনসচেতনতা কার্যক্রম গ্রহণে বিএমএকে এগিয়ে আসতে হবে।
গতকাল সচিবালয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের সাথে এক মত বিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। সভায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল হক খান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল ইসলামসহ বিএমএর সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রপেসর ডা. কামরুল হাসান খান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জনসংখ্যা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া আহমেদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ডা. ইকবাল আর্সলান, বিএমএ মহাসচিব প্রফেসর ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তা ও বিএমএ’র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিএমএ মহাসচিব হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন প্রণয়নসহ চিকিৎসক সমাজের উন্নয়নে বেশ কয়েকটি প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় বিএমএ নেতৃবৃন্দের প্রস্তাবনাগুলো মনোযোগ সহকারে শোনেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাস্তবায়নযোগ্য মতামতসমূহ দ্রæত আলোচনা করে পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন। বিএমএ উত্থাপিত কয়েকটি প্রস্তাবনা আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানযোগ্য হওয়ায় সেগুলো নিয়েও বৈঠক করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান মন্ত্রী। হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও আইন মন্ত্রীর সাথে দ্রæততম সময়ের মধ্যে বৈঠকে বসবেন বলে জানিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকদের কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন প্রণয়নের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে সরকার। এক্ষেত্রে এক সপ্তাহের মধ্যে সুনির্দিষ্ট মতামত প্রেরণের জন্য বিএমএ’র প্রতি আহŸান জানিয়ে তিনি বলেন, বিএমএ’র মতামত পাওয়ার পর দ্রæত আইনের খসড়া চ‚ড়ান্ত করে মন্ত্রিসভা বৈঠকে উত্থাপনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি রোগীদের স্বার্থের কথা ভেবে তাদের প্রতি সহানুভ‚তিমূলক আচরনে উৎসাহ যোগাতে বিএমএ’র পক্ষ থেকে প্রতিমাসে তরুন চিকিৎসকদের নিয়ে বিশেষ কাউন্সেলিং কোর্স চালু করার পরামর্শ দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, চিকিৎসা দিতে আসা চিকিৎসক ও নিতে আসা রোগীর কেউ যেন হয়রানি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে সবাইকে কাজ করতে হবে।
এদিকে বাংলাদেশে ডায়াবেটিক সচেতনতা বৃদ্ধিসহ স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে সহযোগিতা করার আগ্রহ দেখিয়েছে ডেনমার্ক। গতকাল ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত মাইকেল হেমনিতি উইনথার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে এসে এই আগ্রহ ব্যক্ত করেন। তিনি সাম্প্রতিক সময়ে স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করে বলেন, জনগণের স্বাস্থ্যমান উন্নয়নে ডেনমার্কের অভিজ্ঞতাকে বাংলাদেশ কাজে লাগাতে পারলে এদেশের স্বাস্থ্যখাতের সাফল্য আরো ঊর্ধ্বমূখী হবে। এসময় মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে উন্নয়নমূলক কাজে সবসময় সহায়তা করে। ডেনমার্ক সরকার যদি তাদের শিল্পোদ্যাক্তাদের নিয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে কাজ করতে চায় তবে এদেশের সরকার তা ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবে।####
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন