বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

ডিএসসিসি’র সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনের উদ্বোধন

উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, আমার নির্বাচনী ওয়াদা গ্রিন ও ক্লিন ঢাকা বাস্তবায়নকল্পে চলতি বছরকে আমরা পরিচ্ছন্নতা বছর ঘোষণা করেছি। এর মধ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকীকরণ করে ঢাকাকে একটি ক্লিন ও গ্রিণ নগরীতে পরিণত করা হবে।  
গতকাল বুধবার সকালে হাজারিবাগে বেড়িবাঁধ সড়কের পাশে নির্মিত সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনের (এসটিএস) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আরবান পাবলিক এন্ড এনভায়রনমেন্টাল হেলথ সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (ইউপিইএইচএসডিপি) আওতায় এডিবি ও সরকারের অর্থায়নে দক্ষিণ সিটিতে সাতটি এসটিএস নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২০ নং ওয়ার্ডের হাজারিবাগে প্রথমটির নির্মাণ শেষে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হলো গতকাল। এখন থেকে ২০ নং ওয়ার্ডের রাস্তায় আর ময়লার ডাস্টবিন থাকবে না। এলাকার প্রায় ৩০-৪০ টন ময়লা ভ্যানে করে ৭০ বাই ৬০ ফুটের দ্বিতল ঘর বিশিষ্ট এসটিএস-এ আনার পর সেখান থেকে ট্রাকে করে মাতুয়াইল নিয়ে যাওয়া হবে। আগামী এক বছরের কর্মচারীদের বেতন, বিদ্যুত-পানি বিলসহ এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে দুই কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। প্রকল্প পরিচালক আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিল্লাল, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন রকিব উদ্দিন ভুঁইয়া, প্রকল্পের উপ-পরিচালক ডা. জাকির হোসেন, ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারিকুল ইসলাম সজিব, ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ূন কবির, ৫৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী নূরে আলম, ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক, নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান বেলাল এন্ড ব্রাদার্সের চেয়ারম্যান বেলাল আহমেদ প্রমুখ।   
সাঈদ খোকন বলেন, পরিচ্ছন্নতা বছরের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ এসটিএস চালু করা হলো। এতে করে ২০ নং ওয়ার্ড দৃশ্যত ময়লা আবর্জনা মুক্ত হবে। পর্যায়ক্রমে সব ওয়ার্ডে এসটিএস নির্মাণ করা হবে। এছাড়া পথচারী ও ভ্রাম্যমাণ মানুষের ময়লা ফেলার সুবিধার্থে প্রতিটি ওয়ার্ডে ১০০ টি করে ৫৭ ওয়ার্ডে মোট পাঁচ হাজার ৭০০ টি সহজে ব্যবহৃত ওয়েস্ট বিন নির্মাণের কাজ চলছে। তিনি ক্লিন ও গ্রিণ সিটি গড়তে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করে বলেন, এখন থেকে কেউ আর ময়লা রাস্তায় ফেলবেন না, কলার খোসা, চিপসের প্যাকেট ফেলবেন ওয়েস্টবিনে।
সকলের সহযোগিতায় নগরীকে সুন্দর করা সম্ভব মন্তব্য করে মেয়র বলেন, আসুন সবাই নিজের আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখি, শহরকে নিজেদের ঘরের মতো পরিচ্ছন্ন রাখি। তিনি মা-বোনদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সন্ধ্যা ৭ টার পর ময়লা ডাস্টবিনে ফেলুন। রাস্তায় কোন ময়লা ফেলবেন না।
মেয়র বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার উন্নয়ন কাজ চলছে জানিয়ে বলেন, রাস্তা নির্মাণে কোন ত্রুটি দেখলে সাথে সাথে আমাদের জানাবেন, কষ্টের টাকায় রাস্তা করা হচ্ছে, অন্তত ৫/৭ বছর যেন টেকসই থাকে সে রকম নির্মাণ হতে হবে। দক্ষিণ সিটির সর্বত্র এলইডি বাতি স্থাপন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী মে মাসের মধ্যে ধানমন্ডির ২৭-১৫ নম্বর সড়কে এলইডি বাতি স্থাপন করা হবে। আগামী এক বছরে সব সড়ক বাতি হবে এলইডি।  
শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, প্রথম এসটিএস-এর কার্যক্রম শুরু করতে পেরে ঢাকা-১০ এলাকা শুধু ঢাকা মহানগরী নয়, পুরো বাংলাদেশের মধ্যে উদাহরণ সৃষ্টি করলো। প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্প ২০২১-এর অংশ হিসেবে ঢাকাকে আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তোলার যে লক্ষ্য তা বাস্তবায়নে আরো একধাপ এগিয়ে গেল। তিনি আরো বলেন, এসটিএস হওয়ায় এখন থেকে এ এলাকার রাস্তায় আর ডাস্টবিন থাকবে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন