গোদাগাড়ী (রাজশাহী) উপজেলা উপজেলা : মুক্তিযোদ্ধাকে মারপিটের অপরাধে রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌরসভা যুবলীগের এক নেতাকে একমাসের কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ নেওয়াজ তাকে এ দন্ড দেন। দন্ড প্রাপ্তরা যুবলীগ নেতার নাম কামরুজ্জামান ওরফে কামরুল (৩০)।
তিনি গোদাগাড়ী পৌরসভা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। পৌর এলাকার ভগবন্তপুর মহল্লায় তার বাড়ি। বাবার নাম গোলাপ মোস্তফা। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ইউএনও’র দপ্তরের সামনেই গোদাগাড়ীর কাশিমালা গ্রামের আল-ইমরান (৬৫) নামে এক মুক্তিযোদ্ধাকে মারপিটের অপরাধে কামরুলকে এক মাস বিনাশ্রম কারাদÐের আদেশ দেওয়া হয়েছে। বিকেলেই তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা আল-ইমরান জানান, স¤প্রতি তিনি তার গ্রামের একটি খাস পুকুর ইজারা নেন। গত বৃহস্পতিবার ইজারার অর্থ পরিশোধের দিন ঠিক ছিল। বিকেলে তিনি কাগজপত্র নিয়ে ইউএনও’র দপ্তরে ইজারার অর্থ পরিশোধ করতে যান।
কিন্তু যুবলীগ নেতা কামরুল তাকে অর্থ পরিশোধে বাঁধা দেন। কামরুল পুকুরটি তাকে ছেড়ে দেয়ার জন্যও চাপ দিতে থাকেন।
এতে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে কামরুল তাকে চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করেন। এ সময় ইউএনও তার অফিসের লোকজন দিয়ে ওই যুবলীগ নেতাকে ধরে আনেন। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে তাৎক্ষণিক সাঁজা দেন। গোদাগাড়ী পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মুক্তিযোদ্ধাকে মারপিটের ঘটনাটি আমি শুনেছি। আমার কমিটির আগের কমিটিতে ছিলেন কামরুল। তবে নানা বিতর্কে জড়িত থাকায় নতুন কমিটিতে তাকে কোনো পদ দেওয়া হয়নি। যুবলীগ এ ধরনের নেতাকে প্রশয় দেয় না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন