খুলনা ব্যুরো : খুলনায় শাহজামাল জীবন নামের এক যুবকের দু’চোখ উপড়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল বুধবার মহানগরীর খালিশপুর থানা এঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে ছিনতাইকালে আটকে স্থানীয় জনতা তাকে বেধড়ক মারপিটের একপর্যায়ে দু’ চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা করে। আর ওই যুবকের পিতা খালিশপুর নয়াবাটি রেল লাইন বস্তির বাসিন্দা মোঃ জাকির হোসেনের অভিযোগ তার ছেলেকে পুলিশ আটক করে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। তাদের দাবিকৃত অর্থ না দিতে পারায় পুলিশ এ অবস্থা করেছে।
কেএমপি’র বিশেষ শাখার (সিটিএসবি) সিনিয়র সহকারী কমিশনার মুনিরা সুলতানা জানান, গত ১৮ জুলাই রাত পৌনে ১০টার দিকে মহানগরীর খালিশপুর থানাধীন গোয়ালখালী বাসষ্ট্যান্ডে সুমা আক্তার (২০) রিকশা যোগে শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালে অসুস্থ্য পিতাকে দেখতে যাচ্ছিলেন। এসময় মটরসাইকেল আরোহী পিরোজপুরের কাউখালীর সুবিদপুর গ্রামের মোঃ জাকির হোসেনের ছেলে শাহ জামাল শাহ জীবন (৩১) ও খালিশপুরের পিপলস্ পাঁচতলা কলোনীর শুভ (৩০) সুমা আক্তারের গতিরোধ করে ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। রুমা ১৬/১, পুরাতন যশোর রোড, পোর্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিপরীতের বাসিন্দা শেখ শুকুর আহম্মেদের মেয়ে। সুমা আক্তারের ডাক-চিৎকারের স্থানীয় জনতা শাহ্ জামাল ওরফে শাহ্ জীবনকে আটক করে চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টাসহ শরীরের অন্যান্য জায়গায় আঘাত করে। অপর সঙ্গী শুভ ভ্যানিটি ব্যাগটি নিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে খালিশপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল হতে শাহ্ জামালকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। এঘটনায় খালিশপুর থানায় মামলা (যার নং-৩৪) হয়েছে। শাহ্ জামাল জীবনের নামে পিরোজপুর, ডুমুরিয়া ও খুলনা থানায় হত্যা, মাদক ও নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনের একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। শাহ জামাল শাহ জীবনের পিতা মোঃ জাকির হোসেন বলেন, শাহজামালকে পুলিশ ধরে নিয়ে নির্মম নির্যাতন করেছে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে থানায় গিয়ে দেখেছি-সমস্ত শরীরে মারপিটের চিহৃ। তখন তো ওর চোখে কোন সমস্যা ছিল না। বুধবার সকালে শুনেছি ওর নাকি দু’চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে। থানার মধ্যে তাহলে ওর চোখ উপড়ে ফেললো কে?
খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নাসিম খান বলেন, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে খালিশপুরস্থ নয়াবাটি এলাকায় ডাকাত সন্দেহে তার চোখ উপড়ে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। পরে পুলিশ তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। থানায় রেখে কোন নির্যাতন করা হয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন