সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা : সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তার চরাঞ্চলে এ বছর ভুট্টার বাম্পার ফলন দেখা দিয়েছে। কৃষকরা আশাবাদী ফসল ঘরে তুলতে পারলে তারা দ্বিগুণ লাভবান হবেন। উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, শ্রীপুর, কাপাসিয়া, চন্ডিপুর ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার ধু-ধু বালু চরে দেখা দিয়েছে নানাবিধ ফসলের সমাহার। গত বছরের তুলনায় এ বছর ভ্্ুট্টার ব্যাপক চাষাবাদ হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ১ হাজার ৩ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষাবাদ হয়েছে। সরেজমিন বিভিন্ন চরাঞ্চলন ঘুরে দেখা গেছে, ভুট্টার বাম্পার ফলনের দৃশ্য। বিশেষ করে উপজেলার চর চরিতাবাড়ি, কানি চরিতাবাড়ি, বেকরির চর, চর খোর্দ্দা, রিয়াজ মিয়ার চর, উজান বুড়াইল, ভাটি বুড়াইল, কাজিয়ার চর, কালাই সোতার চর, রাঘবের চর, ফকিরের চর, কেরানির চর, রামডাকুয়া, চরকাবাড়ি, লাটশালার চর এলকায় ব্যাপক ভুট্টার চাষাবাদ করা হয়েছে। কথা হয় হরিপুর ইউনিয়নের ভুট্টা চাষি আব্দুর রহিমের সাথে। তিনি বলেন, ২ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। চারা রোপণ থেকে শুরু করে কাটা-মাড়াই পর্যন্ত খরচ হবে ১০ হাজার টাকা। আশা করছি ২ বিঘা জমিতে ৮০ মণ ভুট্টা হবে। যার অনুমানিক মুল্য ৪০ হাজার টাকা। তিনি আরো বলেন, ভুট্টা চাষাবাদে তেমন পরিশ্রম করতে হয় না। পরিত্যক্ত এবং অনুর্বর জমিতে ভুট্টা চাষ করা যায়। তবে চরাঞ্চলে ভুট্টা কাটা-মাড়াইয়ে একটু সমস্যা হয়। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাশেদুল ইসলাম জানান, দিন দিন তিস্তার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় ভুট্টার চাষাবাদ বেড়েই চলছে। কারণ কম খরচে ভুট্টা চাষে অধিক লাভ হয়। যে কারণে কৃষকরা ভুট্টা চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন