বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’, নিহত ৪

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০১৭, ১২:২৬ পিএম

রাজধানী ও কুষ্টিয়ায় পুলিশের সঙ্গে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চারজন নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার ভোরের দিকে এসব বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, রাজধানীতে নিহত দুজনই ছিনতাইকারী।
রাজধানীর মিরপুরে বেড়িবাঁধ এলাকায় আজ ভোরে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই ব্যক্তি নিহত হন। দুজনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। তবে তাদের একজনের আনুমানিক বয়স ৪৫ বছর অন্যজনের বয়স ৫০ বছর। এই দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া।
রাজধানীর রূপনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোমিনুর রহমান বলেন, বেড়িবাঁধ এলাকায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কার্যালয়ের পাশে বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে। ছিনতাইকারীর দল জড়ো হচ্ছে—গোপন সূত্রে এমন খবর পেয়ে ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ছিনতাইকারীরা গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়তে থেকে। বিষয়টি টের পেয়ে ঘটনাস্থলের অদূরে থাকা রূপনগর থানার ঢহল পুলিশের একটি দল ডিবি পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয়। বেশ কিছুক্ষণ বন্দুকযুদ্ধ চলার একপর্যায়ে কয়েকজন ছিনতাইকারী পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বন্দুকযুদ্ধে একজন পুলিশ সদস্য সামান্য আহত হয়েছেন।

এদিকে কুষ্টিয়া পৌরসভা ও ভেড়ামারা উপজেলায় গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে পুলিশের সঙ্গে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে দুই ব্যক্তি নিহত হন। তাঁদের একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। দুটি লাশই কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
কুষ্টিয়া পৌর এলাকার মিলপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক নিশিকান্ত সরকার জানান, গতকাল পাবনার ঈশ্বরদী থেকে সোবহান আলী নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর রাতে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন তার কাছে অস্ত্র আছে। রাত সাড়ে তিনটার দিকে সোবহান আলীকে সঙ্গে নিয়ে কুষ্টিয়া পৌরসভার বারাদী কবরস্থান এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারে যান। ওই এলাকায় পৌঁছালে সোবহান আলীর সঙ্গীরা তাঁকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে পুলিশের দিকে গুলি ছুড়তে শুরু করে তারা। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। দুই পক্ষের বন্দুক যুদ্ধে সোবহান আলী গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
সোবহান আলী (৩৮) কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের নুরুদ্দীনের ছেলে। তবে তিনি দীর্ঘদিন নাটোরে ছিলেন। কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার জুগিয়া এলাকায় একটি ডাকাতির মামলা ছিল তার নামে।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভেড়ামারা সার্কেল) কামরুল হাসান বলেন, রাত সাড়ে তিনটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের দশ মাইল এলাকায় একদল ডাকাত সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ সময় ওই সড়কের টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। কিছুক্ষণ পর এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ। তাকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করে। তবে তার নাম–পরিচয় জানা যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন