শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বাস্থ্য

সাইনোসাইটিসের হোমিও চিকিৎসা

| প্রকাশের সময় : ২৮ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সাইনোসাইটিসের সাথে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত। এটা হল নাক, কান ও গলা বিভাগের একটা রোগ। নাক, কান ও গলা এ তিনটি অংশের যে কোনো একটি অথবা একত্রে তিনটিই রোগাক্রান্ত হতে পারে। কোনো মানুষের রক্তের ঊংড়হড়ঢ়যরষ এবং ঝবৎঁস ও এঊ-এর পরিমাণ বাড়তে থাকলে এমনিতেই ঠান্ড, হাচি, সর্দি লেগে যায়। এক পর্যায়ে টনসিল বৃদ্ধি হয় এবং সব শৈশ্মিলিক ঝিল্লিগুলোতে অ্যালার্জিক প্রদাহ সৃষ্টি হয়। 

নাক ও কপালের মাঝে চামড়ার নিচে অনেকগুলি কুঠুরি/স্তর থাকে। এই কুঠুরিগুলোকে বলা হয় সাইনাস। কখনও কখনও এই সাইনাসগুলোতে প্রদাহের সৃষ্টি ও ইনফেকশন হয়। এই প্রদাহ ও ইনফেকশনজনিত সমস্যাকে সাইনোসাইটিস বলে।
সাইনাস মাথার চারটি অবস্থানে থাকে। তবে সাধারণত গধীুষধৎু ধহফ ঋৎড়হঃধষ সাইনাসে ইনফেকশন বেশী হয়। মাথার খুলির মধ্যে যে সাইনাস থাকে সেগুলোর বিশেষ ধরনের কাজ রয়েছে। এসব সাইনাস বাতাসকে উষ্ণ ও আর্দ্র রাখতে কাজ করে মাথাকে হালকা রাখে ও খুলির বিভিন্ন অঙ্গকে বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
সাইনোসাইটিস কী :- প্রাপ্তবয়স্ক হবার আগেই সাইনাসগুলি পরিণত হয়ে যায়। সাধারনত: সাইনাসে অপ্রয়োাজনীয় দূষিত জীবাণুর বৃদ্ধির ফলেই সাইনোসাইটিস হয়ে থাকে। একিউট ও ক্রনিক এ দু’ভাগে সাইনোসাইটিসকে ভাগ করা হয়ে।
সাইনোসাইটিস-এর কারণ: সাইনোসাইটিস বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। তবে কারও নাকের হাড় যদি বাঁকা থাকে তাহলে এ রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশি।
দূষিত পুকুরের পানিতে গোসল করলে, স্যাতঁসেতে পরিবেশে দীর্ঘদিন থাকলে, অত্যধিক সিগারেট খাওয়া ছাড়াও নস্যি ব্যবহার করলে সাইনোসাইটিস হয়ে থাকে।
রাস্তা-ঘাটে চলার সময় নাকের ভিতর দিয়ে রাস্তার ধুলো প্রবেশ করলে সাইনোসাইটিস হতে পারে। কম বয়েসে অনেকেরই হাম. চিকেন-পক্স, টনসিল, ইনফ্লুয়েঞ্জা হয়। এসব রোগের জীবাণু যদি পুরোপুরি শরীর থেকে না যায় তা হলে পরবর্তীকালে নাকের পিছনে গিয়ে বাসা বাধে। এর ফলে কিছু দিন অন্তর নাক থেকে অনবরত পানি পড়তে থাকে, মাঝে মাঝেই মাথা যন্ত্রণা হয়।
এ অবস্থায় যদি রোগ জিইয়ে রাখা হয় তাহলে পরবর্তীকালে তা ক্রনিক সাইনোসাইটিসে পরিণত হয়। ক্রনিক সাইনোসাইটিসও যদি জিইয়ে রাখা হয় তাহলে নাকে সবসময় দুর্গন্ধ এবং কখনও কখনও নাক থেকে রক্তপড়ে। এর থেকে পরবর্তীকালে ফেরিনজাইটিস, ব্রঙ্কাইটিস এমনকি আথ্রাইটিসও হতে পারে। এর ফলে চোখেরও ক্ষতি হতে পারে।
হোমিওপ্যাথিক প্রতিবিধান : মনে রাখতে হবে সময়মতো চিকিৎসা এবং সচেতনতাই এ রোগের অন্যতম চিকিৎসা । একিউট বা তীব্র সাইনোসাইটিস সারাতে হলে দ্রæত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে যাতে এটা ক্রনিক পর্যায়ে না যায়।

ষ ডা. এস এম আব্দুল আজিজ
সেক্রেটারী: আইডিয়াল ডক্টর্স ফোরাম অব হোমিওপ্যাথি
আল-আজিজ হেলথ সেন্টার, ৫৩ পুরানা পল্টন,
বায়তুল আবেদ, (২য় তলা) ঢাকা,
মোবাইল: ০১৭১০২৯৮২৮৭, ০১৯১১০২০৬৬৪

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন