স্টাফ রিপোর্টার : মৃত শিশুকে ভর্তি রেখে টাকা আদায়ের ঘটনায় জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. জুনায়েত শফিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. নাঈম আহমেদ হাইকোর্টে হাজিরা দিয়েছেন। তবে এ ঘটনায় ব্যাখ্যা দিতে সময় চাওয়ায় আবারো তাদেরকে ২৭ মার্চ হাইকোর্টে হাজির হতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই সময়ের মধ্যে শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় র্যাবের দায়ের করা মামলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাইকোর্টে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে জাপান-বাংলাদেশ হাসপাতালের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। স্বাস্থ্য সচিবের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রাজধানীর ঝিগাতলার জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ মেডিকেল সার্ভিসেস হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে র্যাব-২ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত মৃত শিশুকে ভর্তি রেখে টাকা আদায়সহ নানা অনিয়মের দায়ে ছয়জনকে আটক করেন। একইসঙ্গে হাসপাতালটিকে তৎক্ষণাৎ সাড়ে ১১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ০৯ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালটিতে ১ বছর ৪ মাসের একটি শিশু মারা গেলেও কর্তৃপক্ষ তাকে জীবিত দেখিয়ে পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়া অনভিজ্ঞ ডাক্তারদের দিয়ে শিশু রোগের চিকিৎসা করা, মেডিকেল বোর্ড গঠনের কোনো ব্যবস্থা না থাকা, বায়োকেমিস্ট না থাকাসহ নানা অভিযোগে হাসপাতালের ছয়জনকে আটক করা হয়। তৎক্ষণাৎ হাসপাতালকে ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ বিষয়ে পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী ইদ্রিসুর রহমান ও তৌফিক ইনাম টিপু। ১১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে হাসপাতালের চেয়ারম্যান-এমডিকে তলবসহ রুল জারি করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন