টেকনাফে পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩ লাখ ৬২ হাজার ৪শ' ৬৮ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে বিজিবি। এছাড়া ইয়াবা বহনে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ মিয়ানমার নাগরিককে আটক করে থানায় সোর্পদ করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দম-দমিয়া বিওপির হাবিলদার লুৎফুর রহমান মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান আসার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হ্নীলা ইউপির নয়াপাড়া, মোচনী ও লেদা এলাকা বরাবর নাফনদীতে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর ৫-৬জন লোক একটি নৌকা নিয়ে কিনারায় ভিড়লে বেড়িবাঁধে অবস্থানরত টহল দল চ্যালেঞ্জ করা মাত্র কেওড়া বাগানে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। নদী থেকে টহল দল এগিয়ে আসলে ৩টি বস্তা ফেলে পালিয়ে যায় তারা। পরে ওই বস্তা থেকে ১০ কোটি ২০ লক্ষ টাকার ৩ লক্ষ ৪০ হাজার ইয়াবা বড়ি পাওয়া যায়।
অপরদিকে গত রবিবার রাত ৯টার দিকে টেকনাফ বিওপির সুবেদার মোঃ ইব্রাহীম হোসেন মিয়ানমার হতে ইয়াবার চালান আসার সংবাদ পেয়ে বিশেষ টহল দল নিয়ে নাইট্যং পাড়া বরাবর নাফনদীতে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর ৩ জন ব্যক্তি নৌকা নিয়ে কিনারায় পৌঁছলে বিজিবি জওয়ানেরা চ্যালেঞ্জ করা মাত্র কেওড়া বনে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
তখন বিজিবি সদস্যরা চারদিকে ঘেরাও করে তল্লাশী চালিয়ে মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মন্ডু থানার নাইট্যংখিলের মোঃ ইউনুছ আলীর পুত্র মোঃ আবু ফয়াজ (৪০),আব্দুর রশিদের পুত্র মোঃ শফিক (২০) ও নোয়াপাড়ার ফজল আহমদের পুত্র মোঃ রফিককে (২৫)
আটক করে।
পরে তাদের দেহ তল্লাশি করে কোমরে ফিটিং অবস্থায় ২২ হাজার ৪শ' ৬৮পিস ইয়াবা বড়ি পাওয়া যায়। যার বাজার মূল্য
৬৭ লক্ষ ৪৫ হাজার ৮শ' টাকা। এছাড়া তাদের ব্যবহৃত ২টি মোবাইল ফোন, ১টি কাঠের নৌকা উদ্ধার করা হয়। আটককৃতদের নিষিদ্ধ মাদক বহন ও অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে পৃথক মামলা দায়েরের পর টেকনাফ মডেল থানায় সোর্পদ করা হয়েছে। টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এসএম আরিফুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন