বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কেরানীগঞ্জে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ সন্ত্রাসী ল্যাংড়া আমির নিহত

| প্রকাশের সময় : ২ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা : ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে শীর্ষ সন্ত্রাসী মোক্তার হোসেন আমির ওরফে ল্যাংড়া আমির নিহত হয়েছে। এই বন্দুক যুদ্ধের ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার ভোররাতে মীরেরবাগ ওরিয়েন্টাল টেক্সটাইল মিলস সংলগ্ন বেরিবাঁধ এলাকায় । পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২রাউন্ড গুলিভর্তি একটি বিদেশী পিস্তল ও ২টি ধারালো ছোরা উদ্ধার করে। এই ঘটনায় গতকাল দুপুর ১২টায় ঢাকা জেলা পুলি সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনষ্ঠিত হয়। সে কেরানীগঞ্জের আলোচিত পরাগ অপহরন মামলার পলাতক আসামি । তার বিরুদ্ধে অপহরন মামলাসহ ২টি খুন, ২টি অপহরন, ৩টি অস্ত্র আইন, ২টি পুলিশ এ্যাসল্ট, ১টি পুলিশ হেফাজত থেকে পলায়ন, চাঁদা দাবি করে গুলি করে আহত সংক্রান্ত ৩টি মামলাসহ ১৪টি মামলা রয়েছে। এছারাও দেশের বিভন্ন এলাকায় তার বিরুদ্ধে আরো একাধিক মামলা রয়েছে। ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান সাফিউর রহমান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কুখ্যাত সন্ত্রাসী ল্যাংড়া আমিরকে গ্রেফতারের জন্য দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশকে একটি বিশেষ টিম গঠন করে দেই। তাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় গত ৩১ জুলাই গোপন সংবাদেও ভিত্তিতে খবর পেয়ে বাঘের হাট শরনখোলা এলাকা থেকে গ্রেফÍার করা হয়। তার মজুদকৃত অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের জন্য দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ টিম মীরেরবাগ এলাকায় ওরিয়েন্টাল টেক্সটাইল মিলের কাছে পৌছলে সন্ত্রাসী আমিরের সহযোগীরা আমিরকে ছিনিয়ে নেয়ার জন্য পুলিশকে লক্ষ কওে গুলি ছুরতে থাকে। এসময় পুলিশও আত্ব রক্ষার জন্য পাল্টা গুলি ছোরে। এসময় উভয পক্ষের মধ্যে প্রায় ২০ রাউন্ড গুলিবিনিময় হয়। একপর্যায়ে আমিরের সহযোগিরা পালিয়ে গেলেও আমির গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঘটনাস্থলে মাটিতে পরে থাকে। আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রæত স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
জানা যায গত ২২মার্চ চুনকোটিয়া এলাকায় শাহানা ক্লিেিনকর মালিক ডা: নোমান ও স্ত্রী ডাঃ শাহানার কাছে চিঠির মাধ্যমে ২০লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। ২২মে জিয়ানগর এলাকার ব্যবসায়ী হাজী রুরুল ইসলামের পায়ে গুলি করে তার কাছে ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। ৯জুলাই সন্ত্রাসী আমিরের দাবিকৃত চাঁদার কোটি টাকা না দেয়ায় হাসনাবাদ এলাকার ব্যবসায়ী হাজী মোঃ শাহ আলমকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বুকে ও পেটে গুলি করে আহত করে। সন্ত্রাসী ল্যাংড়া আমিরের নিহত হওয়ার সংবাদ পেয়ে কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় মানুষ আনন্দ মিছিল বের করে এবং মিষ্টি বিতরন করে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন