হৃদপিন্ডের সুস্থতা ও রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ, বিশেষভাবে সম্পর্ক যুক্ত। কোলেস্টেরল করোনারি হৃদরোগে প্রধান ঝুঁকি ফ্যাকটর হিসাবে ইতিমধ্যে চিহিœত হয়েছে। যাকে কিনা খারাপ এলডিএল কোলেস্টেরল বলা হয়। তবে এইচডিএল নামে রক্তে এক ধরণের ভাল কোলেস্টেরল আছে।এর পূর্ণ নাম-হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন।
ভাল বলা হয়,যেহেতু তা অন্যান্য খারাপ এলডিএল কোলেস্টেরলকে রক্ত থেকে অপসারণে সাহায্য করে। প্রথমে এলডিএলকে ধমনী থেকে লিভারে অর্থাৎ যকৃতে নিয়ে আসে, তারপর তা ভেংগে শরীর থেকে বের হতে সাহায্য করে। আদর্শভাবে পুরুষ বা মহিলার ক্ষেত্রে এইচডিএলের লেভেল ৬০ মিগ্রাম/ডিসিলি বা বেশী হলে ভাল হয়। যথাক্রমে ৪০ বা ৫০ এর নীচে নামলে, হৃদরোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
বিভিন্ন কারণে এইচডিএল কমে যেতে পারে। কমার কারণ গুলো হলোঃ
১) রক্তে ট্রাগিøসারাইডের বৃদ্ধি। ২) ওজন বৃদ্ধি। ৩) শারীরিক কর্ম তৎপরতা কমে যাওয়া।৪) ডায়াবেটিস মেলিটাস টাইপ ২। ৫) সিগারেট স্মোকিং। ৬) অতিরিক্ত শর্করা খাবার খেলে, যা > ৬০%ক্যালরী সমৃদ্ধ। ৭) কিছু ওষুধ,যেমন- বিটা বøকার, এনাবলিক স্টেরয়েড ও প্রজেস্টেশনাল এজেন্ট -মুখে খাওয়ার কন্ট্রাসেপটিভ পিল।
এইচডিএলকে বিভিন্নভাবে বাড়ানো যেতে পারে। বাড়ানোর মাধ্যম গুলো হলোঃ
১) নিয়মিত ব্যায়াম। ২) ধূমপান পরিত্যাগ ।৩) ডায়েটারি পরিবর্তন-কম ট্রান্স ফ্যাট খাওয়া, অর্থাৎ গরু- খাশির মাংশ বা ফাস্ট ফুড কম খাওয়া। ৪) ওষুধ, যেমন-নিয়াসিন, ফিব্রেট ও ষ্ট্যাটিন। ৫) বিভিন্ন খাবার,যেমন-ওলিভ অয়েল, মটরশুঁটি, বরবটি ও শিম জাতীয় খাবার। ৬) শস্য- গম, ভূট্টা, ছোলা ও বার্লি ইত্যাদি। ৭) বেশী ফাইবার যুক্ত ফল। যেমন-বরই, আপেল, নাশপাতি। ৮) চর্বিযুক্ত মাছ। ৯) বিভিন্ন ধরণের বাদাম। ১০) আভাকাডো। ১১) ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড।
যাদের প্রকৃতিগত ভাবে রক্তে বেশী এইচডিএল তাদের হৃদরোগ, হার্ট এটাক বা ষ্ট্রোকের সম্ভাবনা কম থাকে। আসুন আমরা সবাই স্বাস্থ্য সচেতন হই, খারাপ কোলেস্টেরল এড়িয়ে চলি।
ষ প্রফেসর ডাঃ এ,কে,এম, মোখলেছুজ্জামান কনসালটেন্ট ইন্টারনাল মেডিসিন, আসগর আলি হাসপাতাল, গেন্ডারিয়া। মোবাইলঃ০১৭৮৭৬৮৩৩৩৩
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন