বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

রূপগঞ্জে দুই ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ৩০

প্রকাশের সময় : ১২ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দুই ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল (শুক্রবার) দুপুরে উপজেলার গোলাকান্দাইল ও সাওঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন ইউপি নির্বাচনে থানা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক বর্ধিত সভায় ইউনিয়ন সভাপতি মনজুর হোসেন ভূঁইয়াকে সমর্থন দেয়া হয়। এস কে সোলায়মান নামে আরেক জন আওয়ামী লীগ থেকে সমর্থন দাবি করেন এবং শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে গোলাকান্দাইল হাট এলাকায় তার নেতৃতে তার কর্মী-সমর্থকরা অবস্থান নেন। এসময় এস কে সোলায়মানকে হুমকি দেয়া হয়েছে বলে প্রতিবাদ জানিয়ে কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতা, গোলাকান্দাইল ও সাওঘাট এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
এদিকে, সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় আওয়ামী লীগ থেকে সমর্থনকারী মনজুর হোসেন ভূঁইয়ার সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিলে বাঁধা প্রদান করেন। পরে উভয় পক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ ঘটনায় এক নারীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের কারণে গোলাকান্দাইল ও সাওঘাট এলাকার হাটবাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মার্কেটের দোকানপাট বন্ধ করে দেয় ব্যবসায়ীরা। এছাড়া এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চলাচলরত যানবাহনের যাত্রীদের মাঝে চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। পরে ভুলতা ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ ব্যাপারে এস কে সোলায়মান বলেন, আগামী ইউপি নির্বাচনে আ’লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে জনগণ আমাকে চায়। আমি নির্বাচন করবো বিধায় আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে। আর এরই প্রতিবাদে আমার কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল করতে গেলে মনজুর হোসেন ভূঁইয়ার সমর্থকরা আমার লোকজনের উপর হামলা চালায়।
অপরদিকে মনজুর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, এস কে সোলায়মান আড়াইহাজার, সোনারগাঁওসহ আশেপাশের এলাকা থেকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ভাড়া করে বিক্ষোভের নামে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। এ কারণে স্থানীয় লোকজন বাঁধা দেন।
ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আনোয়ার হোসেন জানান, সময়মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে আরো বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারতো তবে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন