স্বাভাবিক পরিপাক ক্রিয়ার অংশ গ্যাস বা ফ্লাটাস।প্রতিদিন ৪০০ থেকে ১৩০০ মিলি গ্যাস পায়ু পথে ০৮ থেকে ২০ বারে বের হয়।গ্যাস পাকস্থলী ও অন্ত্রে অবস্থান করে। অতিরিক্ত বাতাস গলাধঃকরণে ও পেটে খাবারে ব্যাকটেরিয়ার ফারমেন্টেশনে এই গ্যাস তৈরি হয়। কোন কোন সময় এই গ্যাস বা গ্যাস নির্গমন নিয়ন্ত্রণে অক্ষমতা শারীরিক সমস্যা বা সামাজিক লজ্জার কারণ হতে পারে। যেমন ঢেকুর উঠা , পেটে ফাঁপ লাগা, পেটে কামড় দেওয়া বা বার বার বাত কর্মের ইচছা। বেশীর ভাগ রোগীর কোন পাকস্থলী বা অন্ত্রের রোগ থাকে না।
যে সমস্ত খাবারে গ্যাস বাড়েঃ
১. দ্রবণীয় ফাইবার(আঁশ)-- ওট ব্রান (তুষ),ফল, ইসুবগুলের ভুষি,সিম ,বরবটি ও মটরশুঁটি ইত্যাদি, ফারমেন্টেশনে আতিরিক্ত গ্যাস তৈরি করে। ২. দুধর ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স থাকলে। ৩. বিভিন্ন ফলে ও ভুট্টায় ফ্রুকটোজ। ৪. শাক-সব্জি,পাতা কপি, ফুল কপি ও ব্রুকলি। ৫. ঝাল মসলাযুক্ত খাবার। ৬. খুব উন্নত, চর্বিযুক্ত ও ভাজা খাবার। ৭. সরবিটল ও গাম সমৃদ্ধ খাবার।
খাবারের টিপসঃ ১. ধীরে ধীরে ভাল মত চিবিয়ে খাওয়া। ২. খাবার সময় কথা না বলা। ৩. ধুমপান, চুইংগাম ও ক্যান্ডি বাদ দেওয়া। ৪. প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় খাওয়া। ৫. খাবার পর পর ব্যায়াম না করা। ৬. খাবার পর মিন্ট বা আনারস খাওয়া। ৭. ব্যালেন্সড(সুষম) খাবার খাওয়া ও গ্যাস বৃদ্ধি কারী খাবার এড়িয়ে চলা।কার্বহাইড্রেট যেমন ল্যাকটোজ , গম ইত্যাদি কম খাওয়া। ৮. ক্যাফেইন, কার্বনেটেড পানীয় ও বিয়ার না খাওয়া। ৯. স্ট্র ব্যাবহার না করা। ১০. খাবার সাথে বেশী পানি না খাওয়া। খাবার ১ ঘন্টা পরে বেশী পানি খাবেন। ১১. স্ট্রেস(ধকল) এড়িয়ে চলা।
গ্যাস বা ফ্লাটাস থেকে রক্ষা পেতে খাবার ও পরামর্শ মেনে চলার পশাপাশি , কিছু ওষুধের যেমন- সেমিথিকন, চারকোল , পিপারমিন্ট ইত্যাদির সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। মনে রাখতে হবে-যত দুর্গন্ধ ফ্লাটাস তত হজমে গন্ডগোলের সম্পৃক্ততা থাকে। আপনার স্বাস্থ্য সমস্যায় একজন সুচিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ষ প্রফেসর ডাঃ এ,কে,এম, মোখলেছুজ্জামান
কনসালটেন্ট -ইন্টারনাল মেডিসিন,
আসগর আলি হাসপাতাল,গেন্ডারিয়া। ০১৭৮৭৬৮৩৩৩৩
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন