নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মেঘনা নদীতে নৌ চাঁদাবাজদের হামলায় দুই নৌযান শ্রমিক আহত হয়েছে। এসময় তারা এক নৌ চাঁদাবাজকে আটক করে নৌ পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। বুধবার সকালে মেঘনা নদীর ফ্রেশ কারখানার সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত সুকানী মোঃ হাসান ও গ্রীজার মিরাজ এবং গ্রেফতারকৃত নৌ চাঁদাবাজ মোঃ শামীমকে নারায়ণগঞ্জ শহরের ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। দুপুরে ওই নৌ চাঁদাবাজকে সোনারগাঁ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। গ্রেফতারকৃত শামীম মেঘনার নলচর এলাকার নাসিরউদ্দিনের ছেলে।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদার জানান, এমভি এহসান নামের বাল্কহেডের সুকানী মোঃ হাসান ও তাদের নৌযানের স্টাফরা কুমিল্লার দাউদকান্দি থানাধীন মহিষেরচর নামের বালুমহাল থেকে বালু আনার জন্য ডেমরা ঘাট থেকে রওয়ানা দেন। বুধবার সকালে তারা সোনারগাঁয়ের মেঘনা নদীতে ফ্রেশ কারখানার সামনে পৌছলে নৌ চাঁদাবাজরা অতর্কিতে তাদের বাল্কহেডের উপরে পাথর নিক্ষেপ করে ও লাঠিসোটাসহকারে হামলা চালায়। এসময় নৌ চাঁদাবাজদের হামলায় সুকানী হাসান ও গ্রিজার মিরাজ আহত হন। নৌ চাঁদাবাজরা এসময় নগদ ২২ হাজার টাকা লুটে নেয়। এসময় নৌযানটির শ্রমিকরা শামীম নামের এক নৌচাঁদাবাজকে আটক করে দ্রুত বাল্কহেড চালিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের দিকে চলে আসে। পরে তারা নৌ চাঁদাবাজ শামীমকে নৌ পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। নৌ চাঁদাবাজ শামীম পরে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিতে নয়ন ও শাকিলের নাম বলেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের উদ্দেশ্যে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন সুকানী মোঃ হাসান। দুপুরে নৌ চাঁদাবাজ শামীমকে সোনারগাঁ থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে।
সবুজ শিকদার আরও জানান, নদীপথে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও ডাকাতি বন্ধের দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে আসছি। গত ৬ আগস্টও আমরা নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন মিছিল করেছি। কিন্তু এরপরেও নদীপথে নৌযান শ্রমিকরা নিরাপত্তা পাচ্ছেনা। আজকে বালুমহালের কতিপয় দুস্কৃতিকারীর কারণে নৌ শ্রমিকদের রক্ত নদীর পানিতে মিশে যাচ্ছে। বালুমহালের কতিপয় দুস্কৃতিকারীর শেল্টারদাতা কারা আমরা জানি। শ্রমিকদের রক্ত নিয়ে হোলিখেলার পয়সা কাদের পকেটে যাচ্ছে সেটাও আমরা জানি। বিআইডব্লিউটিএ’র ইজারার নামে নদীপথে চলন্ত নৌযান আটকিয়ে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। তাই আমরা হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলতে চাই যদি অবিলম্বে নৌযান শ্রমিকদের উপর হামলা নির্যাতন বন্ধ না হয় তাহলে আমরা সারাদেশে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবো।
নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ আবু তাহের খান জানান, নৌযান শ্রমিকরা শামীম নামের এক ব্যাক্তিকে আটক করে আমাদের কাছে সোপর্দ করে। পরে আমরা ওই যুবককে হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে সোনারগাঁ থানাথীন বৈদ্যেরবাজার নৌ পুলিশ ফাঁড়ির কাছে সোপর্দ করলে তারা আটককৃতকে সোনারগাঁ থানায় নিয়ে যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন