তদন্ত কমিটির প্রধানই জানেন না ছবি ঢাকার বিষয়টি
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার : ১৫ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগের লাগানো শোক দিবসের পোস্টার ছিড়াকে কেন্দ্র করে হল ছাত্রলীগের সভাপতি ফকির রাসেল আহমেদের সুপারিশে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শফিউল আলম ভূইয়া সেদিন সকালে হলের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে ১১ জন শিক্ষার্থীকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন।
এই ঘটনায় ছাত্রদের পুলিশে সোপর্র্দ করা নিয়ে ছাত্রলীগের নেতারা ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এক ছাত্রলীগ নেতা প্রতিবেদককে বলেন, এই বিষয়টা এমন কোন গুরুতর না। মধুর ক্যান্টিনের পোস্টারই ছিড়া থাকে। সেখানে তো কোন শিবির বা ছাত্রদল এসে পোস্টার ছিড়ে দেয় না। হল সভাপতি নিজেকে শো-অফ করাতে এই কাজ অতি উৎসাহী হয়ে করেছে আর এতে মদদ দিয়েছেন হলের প্রভোস্ট।
ছাত্রদের পোস্টার ছিড়া নিয়ে যখন তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয় তখন দেখা যায় হল প্রশাসন নিজেরাই শোক দিবসের পোস্টারের উপর বঙ্গবন্ধুর ছবি ঢেকে দিয়ে নিজেদের শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজন করা মিলাদের বিজ্ঞপ্তি সাঁটিয়েছে। পরবর্তীতে ইনকিলাবসহ আরো কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে এই নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে হল প্রশাসন হলের আবাসিক শিক্ষক রাশেদুর রহমানকে প্রধান করে একটি পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানায় হল প্রশাসন। তদন্ত কমিটির কাজের গতির ব্যাপারে জানতে চাইলে কমিটির প্রধান ও হলের আবাসিক শিক্ষক রাশেদুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছবির উপর হলের বিজ্ঞপ্তি সাঁটানোর ব্যাপারটা আমি জানতাম না, আমি জানি ছাত্রদের পোস্টার ছিড়ার ব্যাপারটা নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা এখনো কাগজ হাতে পাইনি, হাতে পেলে জানতে পারবো। এই ব্যাপারটা আপনার থেকেই জানলাম। আমরা আজকে বসবো সবাই তখন আপনার দেয়া এই তথ্যের ব্যাপারেও কথা হবে। তখন তার কাছে জানতে চাওয়া হয় ছাত্রদের যেভাবে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সনাক্ত করা হয়েছে সেভাবে কি সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্য নেয়া হবে কিনা এই ক্ষেত্রে এ ব্যাপারে তিনি বলেন হ্যা আমরা সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্য নিব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন