আজ রোববার প্রধানমন্ত্রী বন্যাত্যদের দুঃখ দূর্দশা প্রত্যক্ষ করতে দিনাজপুর ও কুড়িগ্রাম আসছেন। তিনি দিনাজপুরের সদর ও বিরলে দুটি জনসভায় ভাষন দিবেন এবং ত্রাণ সামগ্রি বিতরণ করবেন।
দিনাজপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য এম ইকবালুর রহিম জানান, ১৯৮৮’র বন্যা ইয়াসমিন ঘটনাসহ যে কোন দূর্যোগে প্রধানমন্ত্রী দিনাজপুরের মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। আজও তিনি ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের পূণর্বাসনে দিক নির্দেশনা দিবেন বলে দিনাজপুরের মানুষ অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। দিনাজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ হোসেন বিরলের বানভাসী মানুষের দুঃখ দূর হবে প্রধানমন্ত্রীর আগমনের মধ্য দিয়ে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন। এবারের আকষ্মিক বন্যায় প্রায় ৭৮টি ইউনিয়ন ও ৮ টি পৌরসভা প্লাবিত হয়। পানি এত দ্রুত প্রবেশ করে যে মানুষজন মালামাল ছেড়ে কোন মতে জীবন নিয়ে বের হয়ে আসেন। বন্যার পানি গ্রামাঞ্চল গ্রাস করে শহরে প্রবেশ করে। শহরের অনেক এলাকা কোমর পানিতে ডুবে যায়। শনিবার পর্যন্ত সরকারী হিসাবে ৫৯২৯৯টি ঘরবাড়ী সম্পূর্ণরুপে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সংখ্যা হচেছ ৬ লক্ষ ২১ হাজার ৮৮৪ জন। রোপা আমন ধান ৪১৩২৯ ও শাক সবজি ৩৭৫ হেক্টও সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। ভেঙ্গে গেছে শহর রক্ষা বাধ। পানির তোড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে রেল লাইন, ব্রীজ, কালভার্ট ও রাস্তাঘাট। দিনাজপুরের সাথে এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে রেল যোগাযোগ। সীমিত আকারে বাস চলাচল করলেও অনেক সড়কে বন্ধ রয়েছে। ত্রাণ তৎপরতা চলছে সরকারী ও বেসরকারীভাবে। সরকার শনিবার পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলির জন্য নগদ ৫০ লক্ষ টাকা ও ৮৫২ মেট্রিক টন চালসহ ডাল তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বন্যাত্যদের মধ্যে বিতরণ করেছে। দিনাজপুর সদরের সকল আশ্রয় কেন্দ্রে ইকবালুর রহিমের ব্যাক্তিগত উদ্যোগে প্রতিদিন খিচুরী প্রদান করা হচ্ছে।
গত শুক্রবার আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সড়ক ও সেতু মন্ত্রী দিনাজপুরের মানুষকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে দাওয়াত দিয়ে বলেছেন কেউ না খেয়ে থাকবে না। যতদিন পর্যন্ত ঘরে ফিরতে পারবে না বন্যাত্যরা ততদিন তাদের খাওয়া দেয়া হবে। পূণর্বাসন করা হবে ঘর-বাড়ী হারানো পরিবারদের। এ কারণে আজকে প্রধানমন্ত্রীর আগমনে দিনাজপুরের মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়ে গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন