শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

বরিশাল-ফরিদপুর-ঢাকা মহাসড়ক বরিশাল অংশের ৬০ কিলোমিটার উন্নয়নে ১০৫ কোটি টাকার প্রকল্প

প্রকাশের সময় : ১৪ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নাছিম উল আলম : দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশমুখ বরিশাল-ফরিদপুর-ঢাকা জাতীয় মহাসড়কের বরিশাল ও মাদারীপুর জেলার মধ্যবর্তী ভুরঘাটা থেকে লেবুখালী পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার রাস্তার প্রশস্ততা বৃদ্ধির একটি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেক-এর অনুমোদন লাভ করেছে। প্রায় ১০৫ কোটি টাকার দেশীয় তহবিলে ৮ নম্বর জাতীয় মহাসড়কটির ৬০ কিলোমিটার মহাসড়ক বর্তমানের আঠার ফুট থেকে ২৪ ফুট প্রশস্ততায় উন্নীতকরণসহ দেড় ইঞ্চি পুরু বিটুমিন আস্তরণ বা ওভার-লে করা হবে। চলমান বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী-এডিপিতে প্রকল্পটির জন্য এক কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। আগামী জুনের মধ্যেই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সড়ক বিভাগ থেকে দরপ্রস্তাব আহŸান করা হবে। এর ফলে প্রকল্প সমাপ্তি পরবর্তী অন্তত পাঁচ বছর এ মহাসড়কের মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন হবে না।
সারা দেশের সাথে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ রক্ষাকারী বরিশাল-ফরিদপুর-ঢাকা ৮নম্বর জাতীয় মহাসড়কটির বরিশাল-ফরিদপুর অংশের ১২৪ কিলোমিটার রাস্তার বরিশাল অংশের প্রায় ৪৯ কিলোমিটার এখনো মাত্র ১৮ ফুট প্রশস্ত। জতীয় মহাসড়কটির মাদারীপুর ও ফরিদপুর সড়ক বিভাগের আওতাভুক্ত অবশিষ্ট অনেক এলাকাই ইতোমধ্যে ২৪ফুট প্রশস্ততায় উন্নীত করা হয়েছে।
২০১৮ সালের শেষভাগে পদ্মা সেতু চালু হলে বরিশাল-ফরিদপুর-ঢাকা মহাসড়কটিতে হালকা, মাঝারী ও ভারী যানবাহন চলাচল কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু পদ্মা সেতুর পশ্চিম প্রান্তের সংযোগ সড়কগুলোর মনোন্নয়নে এখনো তেমন কোন জোরালো পদক্ষেপ নেই। ঢাকা-মাওয়া-ভাংগা-মোংলা/খুলনা মহাসড়ক, ভাংগা-নড়াইল-যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক ও ভাংগা-ফরিদপুর মহাসড়কসহ ভাংগা-বরিশাল-পটুয়াখালী-পায়রা/কুয়াকাটা মহাসড়কগুলো ৪ লেনে উন্নীত করণে এখনো তেমন কোন বাস্তব পদক্ষেপ নেই।
শুধুমাত্র এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে বরিশাল থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত জাতীয় মহাসড়কটির সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষ হয়েছে। এছাড়া গোপালগঞ্জের ভাটিয়াপাড়া থেকে কালনা-নড়াইল-যশোর মহাড়কটি জাপান উন্নয়ন তহবিল-জাইকার অর্থায়নে উন্নয়নের একটি প্রকল্প প্রাথমিক বিবেচনায় রয়েছে। প্রকল্পটির আওতায় কালনাতে মধুমতি নদীর ওপর সেতু নির্মাণের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে জাইকার সাথে কোন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরসহ ডিপিপি অনুমোদন লাভ করেনি। জাইকার সাথে কোন খসড়া ঋণ চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়নি। তবে কালনা সেতু প্রকল্পটি ইতোমধ্যে একনেক-এর অনুমোন লাভসহ প্রধানমন্ত্রী এর ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেছেন। কিন্তু পুরো প্রকল্পটির বাস্তবায়ন অগ্রগতি এখনো তিমিরেই।
এ অবস্থার মধ্যেই বছর দেড়েক আগে বরিশাল সড়ক বিভাগ থেকে ৮ নম্বর জাতীয় মহাসড়কের বরিশাল অংশের প্রায় ৬০ কিলোমিটার রাস্তার প্রশস্ততা সম্প্রসারণসহ এর ওভার-লে প্রকল্পটি প্রণয়ন করে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়। প্রকল্পটির গুরুত্ব অনুধাবন করে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় ১০৫ কোটি টাকার প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সুপারিশ করে পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করে। গত ২ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একনেক সভায় প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করেছে।
সড়ক অধিদফতরের দায়িত্বশীল মহলের মতে, আগামী অর্থবছরের শুরুতেই প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কাজ শুরু করে ২০১৮-এর জুনের মধ্যে তা সম্পন্ন করার চেষ্টা চলছে। প্রকল্পটির আওতায় ভুরঘাটা থেকে শুরু করে বরিশাল মহানগরী হয়ে লেবুখালী ফেরিঘাট পর্যন্ত প্রায় ৬০ কিলোমিটার মহাসড়ক ২৪ ফুটে উন্নীত করণসহ ২টি কালভার্টও নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও সম্প্রসারিত অংশটিসহ পুরো মহাসড়কটিতে পুনরায় ওভার-লে বা বিটুমিনাস আস্তরণ প্রদান করা হবে বলেও জানা গেছে। এর ফলে রাজধানীর সাথে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক পরিবহন ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করনে সড়ক অধিদফতরের দায়িত্বশীল মহল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন