ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে শিশির নামের এক যুবক তার মা সুন্দরী দাস ও ছয় বছরের আপন ভাগ্নি প্রিয়ন্তিকে খুন করে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। এ ঘটনায় বোয়ালমারী থানা পুলিশ অভিযুক্ত শিশিরকে আটক করেছে।
বর্তমানে সে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশী প্রহরায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মঙ্গলবার ভোরে এ খুনের ঘটনাটি ঘটে বোয়ালমারী পৌর এলাকার কামারগ্রামে। পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পৌর এলাকার কামারগ্রামের জনৈক বিভুতি ভুষন সাহার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন শিশির ও তার পরিবার। শিশির বেঙ্গল বিস্কুট নামের একটি কোম্পানীতে চাকুরী করেন। পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
পৌর কাউন্সিলর শেখ আজিজুর রহমান জানান, সকাল নয়টার দিকে খবর পেয়ে সেই বাড়িতে গিয়ে গলাকাটা অবস্থায় লাশ দুটি দেখতে পান। এসময় পুলিশকে খবর দেয়া হলে পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে। মারাত্মক আহত অবস্থায় শিশির ঘরের মধ্যেই ছিল। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
খুনের ঘটনাটি স্বীকার করে শিশির জানান, ভোর রাতে তার মা ও ভাগ্নিকে ঘুমের ইনজেকশন দেয়া হয়। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুজনেরই গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর শিশির নিজেই গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় শিশিরকে আটক করা হয়েছে। তাকে পুলিশী প্রহরায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সে কিছুটা সুস্থ হলে তাকে জিজ্ঞাবাসাদ করা হবে।
তিনি আরো জানান, শিশির ৬ মাস আগে বোয়ালমারীতে বিভুতি ভুষন সাহার বাড়িতে ভাড়ায় উঠেন। সে তার মা ও ভাগ্নিকে নিয়ে বাসায় থাকেতন। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটতে পারে। শিশিরের বাড়ী যশোরের কেশবপুর এলাকায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন