উৎসুক জনতার ভীড়
চট্টগ্রামের রাউজানে ধরা পড়ল একটি লজ্জাবতী বানর। গত সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের নুর আহম্মদ ছোবাহান বাড়িতে বানরটি ধরা পড়ে। বানরটি উচ্চতায় এক ফুট, লম্বায় প্রায় দেড় ফুট। গায়ের সাদা রংয়ের উপর পিঠে বাদামি রং। চোখ দুটি দেখতে বিড়ালের মতো ও ঘোলাটে। তবে এটির লেজ নেই। লজ্জাবতী বানরটি দেখতে এলাকার উৎসুক জনতা ভীড় করেন।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে একটি শুপারি গাছে উঠতে দেখে স্থানীয় যুবক আকতারুল আলম সাকের। সে বাড়ির টিপু সুলতান, ইমরান হোসেন বিপলু, রোকন, শাহাদাত হোসেন,নাঈম, মো. জাবেদকে নিয়ে বানরটি ধরে ফেলে। পরে বাজার থেকে লোহার পিঞ্জিরা কিনে এনে বানরটিকে রাখা হয়।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ লজ্জাবতী বানর গবেষণা ও সংরক্ষণ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান গবেষক হাসান আল রাজি চয়ন মুঠোফোনে বলেন, চট্টগ্রামের রাউজানে একটি লাজ্জাবতী বানর ধরা পড়েছে বলে আমাকে সোমবার রাতে ফোন করেছে। মঙ্গলবার সকালের মধ্যে আমরা একটি টিম রাউজানে পাঠাবো।
একই প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়াকে বর্ণনা দিয়ে তিনি মুঠোফোনে বলেন, এটি একটি বিলুপ্ত প্রাণী। এটির নাম স্লো লরিস (স্থানীয় নাম লজ্জাবতী বানর)। এটি খুবই শান্তপ্রাণী। এই দুর্লভ প্রাণীটিকে পাওয়া আমাদের জন্য ভালো খবর। এটিকে নিরাপদে রাখাটা জরুরী। এটি খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে আসতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।
বানরটিকে যারা আটক করেছেন তাদের একজন ইমরান হোসেন বিপলু জানান, আমরা পিঞ্জিরা কিনে বানরটিকে রাখি। বিভিন্ন প্রকার খাবার দিলেও প্রাণীটি শুধু কলা খেয়েছে। আমরা প্রাণীটির বিষয়ে রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে অবহিত করলে তিনি বানরটিকে রাউজানের মিনি চিড়িয়াখানা গিরি ছায়ায় হস্তান্তর করার পরামর্শ দেন। তাঁর পরামর্শ মতে, আমরা গতকাল মঙ্গলবার গিরি ছায়া কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন