জিহŸার খসখসে ভাব জিহŸার প্যাপিলার জন্য হয়ে থাকে। জিহŸার প্যাপিলা নষ্ট হয়ে গেলে জিহŸা মসৃন দেখা যায়। বিভিন্ন রোগে জিহŸার রং এর পরিবর্তন দেখা যায়। বিশেষ করে রক্তশূন্যতা, জিহŸার প্রদাহ বা গøসাইটিস বা লাইকেন প্ল্যানাস, সিফিলিস বা ক্যান্সার ইত্যাদি রোগে জিহŸার স্বাভাবিক রং এর পরিবর্তন হয়ে থাকে। জিহŸার ফ্যাকাসে রং রক্তশূন্যতার প্রতিফলন। জিহŸার নীল রং অক্সিজেনের স্বল্পতার ইঙ্গিত বহন করে। জিহŸার সাদা রং মৃত কোষ এবং সাদা আবরণ ওরাল থ্রাশ, ক্যান্সার অথবা এইডস রোগের ইঙ্গিত দিতে পারে। জিহŸার রং যে সব দিকে পরিবর্তিত হতে পারে এবং তা থেকে যে সব রোগের ধারণা পাওয়া যায় তা হল-
জিহŸার ফ্যাকাসে রং ঃ জিহŸার ফ্যাকাসে রং রক্তশূণ্যতা, পুষ্টির অভাব, ভিটামিন স্বল্পতা, দুর্বল রক্ত সঞ্চালন অথবা জটিল পুরাতন রোগের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। জিহŸার লাল বা লালাভ বর্ণ ঃ জিহŸার লাল রং সংক্রমণ, প্রদাহ এবং গøসাইটিসের ইঙ্গিত দিয়ে থাকে। এছাড়া পুষ্টিজণিত সমস্যা, ভিটামিন বি অর্থাৎ নিয়াসিন এর অভাবজণিত সমস্যা পেলেগ্রার ক্ষেত্রে জিহŸা লাল বা লালাভ বর্ণ ধারণ করতে পারে। পান সেবনের কারণেও জিহŸার বর্ণ লাল হতে পারে। জিহŸার হলুদ বর্ণ ঃ জন্ডিস এবং ধূমপানের ক্ষেত্রে জিহŸার হলুদ বর্ণ হতে পারে।
জিহŸার নীল রং ঃ কেন্দ্রীয় সায়ানোসিস এবং সি.ও.পি.ডি. রোগের ক্ষেত্রে জিহŸার বর্ণ নীল হতে পারে। পার্পল রং ঃ সায়োনোসিস রোগের ক্ষেত্রে পার্পল রংয়ের জিহŸা দেখা যেতে পারে। জিহŸার বাদামি রং ঃ বৃদ্ধ বয়সে অসুস্থতার ক্ষেত্রে জিহŸায় বাদামি রং হতে পারে।
জিহŸার সাদা রং ঃ ডিহাইড্রেশন, ফাংগাল সংক্রমণ, লিউকোপ্লাকিয়া, লাইকেন প্ল্যানাস, সিফিলিস রোগে জিহŸা সাদা হতে পারে। স্ট্রবেরি জিহŸা ঃ স্কারলেট ফিভার এবং কাওয়াসাকি রোগে স্ট্রবেরি টাং বা জিহŸা দেখতে পাওয়া যায়।
জিহŸার কালো রং ঃ লাইকেন প্ল্যানাস এবং ফাংগাল সংক্রমণের ক্ষেত্রে কখনো কখনো কালো জিহŸা দেখতে পাওয়া যায়। মানচিত্র জিহŸা ঃ একে জিওগ্রাফিক টাং বলা হয়। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে জিওগ্রাফিক টাং দেখতে পাওয়া যায়। জিহŸার রং অস্বাভাবিক এবং দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই তা গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় আনতে হবে এবং রোগীদের এর যথার্থ চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং মুখস্ত ঔষধ সেবন বর্জন করতে হবে।
ষ ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
মোবাইল ঃ ০১৮১৭৫২১৮৯৭
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন