শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

মেঘনার কড়াল গ্রাসে আড়ইশত বাড়ীঘর বিলীন ১৫শ’ মানুষ আশ্রয়হীন

| প্রকাশের সময় : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : রায়পুরার চানপুর ও চরমধুয়ার পর এবার মেঘনার কড়াল গ্রাসে পতিত হয়েছে নরসিংদী সদরের চরাঞ্চল। গত ১ সপ্তাহে করিমপুর ইউনিয়নের শুটকিকান্দা গ্রামে। গত এক সপ্তাহে শুটকিকান্দা গ্রামের কান্দাপাড়া এলাকায় কমবেশী শতাধিক বাড়ীঘর মেঘনা গর্ভে তলিয়ে গেছে। হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে আরো কয়েকশত বাড়ীঘর। ভয়াবহ ভাঙন থেকে রক্ষা করার জন্য গ্রামবাসীরা দেড় শতাধিক বাড়ীঘর ভেঙে নিরাপদ স্থানে নিয়ে গেছে। এসময় আহত হয়েছে কমবেশী ১৫ জন গ্রামবাসী। আহতদের মধ্যে ভাঙনের সময় ঘরের চালার নিচে চাপা পড়ে আহত হয়েছে ফজলুল হক (৩৫), করিমপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য সেন্টু মিয়া (৫৫), খায়রুল মিয়া (৩৫), হনুফা বেগম (৩৫) ও আফাজ উদ্দিন (৩০)। এদেরকে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পরে আফাজ উদ্দিন ও ফজলুল হককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। করিমপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা হরমুজ খান জানিয়েছেন, গত বুধবার থেকে হঠাৎ করিমপুর ইউনিয়নের বগারগোত এলাকার শুটকিকান্দা গ্রামে ভাঙন শুরু হয়। ভাঙনের প্রকৃতি ভয়াবহ। প্রথমে মেঘনা তীরবর্তী বাড়ীঘরগুলো খন্ড খন্ডভাবে ভাঙতে শুরু করে। পরে শুরু হয় ধস। হঠাৎ করে ১০/২০টি করে বাড়ী ঘর নিয়ে কয়েক বিঘা জায়গা হঠাৎ নিচের দিকে ধসে মেঘনা গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এইভাবে কয়েকটি বড় বড় ধসের কারণে কয়েক ঘন্টার মধ্যে শতাধিক বাড়ী ঘর মেঘনার পানিতে তলিয়ে যায়। এই অবস্থায় গ্রামের মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতংক দেখা দেয়। সাধারণ মানুষ তাদের বাড়ী ঘর সরিয়ে নেয়ার জন্য তৎপর হয়। তারা ঘর ভেঙে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতে থাকে। গত ৪/৫ দিনের দেড় শতাধিক বাড়ী ঘর ভেঙে মেঘনার তীর থেকে দূরে সরে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি অনেকের। ইতোমধ্যেই অনেক বাড়ী ঘর ও ভিটে বাড়ী মেঘনার পানিতে বিলীন হয়ে গেছে। খবর পেয়ে নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। গতকাল মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মন্জুর এলাহী, ভাইস চেয়ারম্যান কবির আহমদ শহর বিএনপির সভাপতি একেএম গোলাম কবির কামাল।
পরিদর্শন শেষে বিএনপি নেতৃবৃন্দ জানিয়েছে, মেঘনার ভাঙনে কমবেশী আড়াইশত পরিবারের কমবেশী ১৫শত মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তারা এখন সহায় সম্বলহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে। এলাকার লোকজন জানিয়েছে, এ পর্যন্ত কমবেশী ২ থেকে ৩ কোটি টাকার সম্পদ মেঘনার পানিতে তলিয়ে গেছে। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা চেয়ারম্যান ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এ পর্যন্ত নদী শিকস্তির কয়েকশত মানুষের নিকট সরকারের পক্ষ থেকে কোন সাহায্য পৌছেনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন