মীরসরাই উপজেলার ১৫ নং ওয়াহেদপুর এলাকায় এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। উক্ত যুবলীগ নেতা ইতিমধ্যে ৩টি হত্যা মামলার আসামী হিসেবে দীর্ঘদিন পলাতক ছিল। বাড়ীতে ঈদ করতে আসার সুযোগেই পূর্বের হত্যা মামলার প্রতিপক্ষরা তাকে কুপিয়ে খুন করে। পুলিশ জানায় হত্যা মামলার আসামী বাড়ীতে এসেছে খবর পেয়ে গ্রেফতার করতেই যাচ্ছিল । কিন্তু উদ্ধার করে তার রক্তাক্ত দেহ। অবশেষে ৫ ঘন্টা মৃত্যুর সাথে লড়ে সে রাত ৮ টায় চমেক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে।
উপজেলার নিজামপুর পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার্স ইনচার্জ জহির উদ্দিন জানান ১৫ নং ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের ফরফরিয়া গ্রামের শফিউল আলমের পুত্র ফজলুল করিম ( ৩০ ) দীর্ঘদিন কয়েকটি খুনের মামলায় পলাতক ছিল । ঈদে সে বাড়ী আসলে পূর্ব ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার ( ৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় তাকে বাড়ী থেকে কৌশলে দমদমা সড়কের বোরহান উদ্দিনের দোকান এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে পূর্ব থেকে প্রস্তুত থাকা ১০-১২ জনের প্রতিপক্ষ যুবক অতর্কিত তাকে উপর্যুপরি কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায়। এক পর্যায়ে মিরসরাই থানার পুলিশ দল তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মস্তাননগর ও আশংকাজনক অবস্থায় চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করে। পুলিশ আরো জানায় প্রতিপক্ষের হামলার শিকার ওই যুবক ফজলু গত ২৫ জানুয়ারি ছাত্রলীগ কর্মী নুরুল আমিন মুহুরী হত্যার ১ নং আসামী। ১ বছর পূর্বে সাহেরখালীর তৌহিদ হত্যার ২ নং আসামী। কমলদহ এলাকায় মমতাজ উদ্দিন টিপু হত্যা মামলার ৫ নম্বর আসামী। স্থানীয় ওয়াহেদপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ফজলুল কবির ফিরোজ জানান হামলার শিকার ফজলু ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক । তবে ইতিমধ্যে ফরফরিয়া গ্রামে ও স্থানীয় পর্যায়ের বিরোধ কেন্দ্রীক দীর্ঘদিন বিভিন্ন ঘটনার জের ধরেই এ ঘটনা ঘটেছে। মিরসরাই থানার ওসি তদন্ত রমিজ উদ্দিন জানান খুন হওয়া আসামীকে আমাদের ফোর্স আটক করতেই যাচ্ছিল। কিন্তু পুলিশ তাকে সুস্থ আটক করার আগেই প্রতিপক্ষ তাকে কুপিয়ে রেখে যায়। তবুও পূর্বের এবং আজকের পুরো ঘটনাটি আমরা তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন