মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের খোঁজখবর নিতে ঢাকায় এসেছেন তুরস্কের ফার্স্টলেডি এমিন এরদোগান ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কেভুসেগলু।
আজ বৃহস্পতিবার ভোর আনুমানিক ৩টার দিকে একটি প্রাইভেট বিমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তারা। এ সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম তাদের স্বাগত জানান।
পরে সকালে তারা কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা হন। সেখানে তুরস্কের ফার্স্টলেডি রোহিঙ্গাদের ত্রাণ সহায়তা দেবেন।
তুরস্কের ফার্স্টলেডি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সাম্প্রতিক সংঘাতে বিপর্যস্ত রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষের অবস্থা দেখতে কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করবেন। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সফরে তুর্কী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে থাকবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
কক্সবাজার থেকে ফিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করার কথা রয়েছে এরদোগানপত্নীর। তারা চলমান রোহিঙ্গা সঙ্কটের সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে আলোচনা করবেন।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইনে সামরিক আগ্রাসনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে অনুপ্রবেশ করেছে আনুমানিক ১ লাখ ৪৬ হাজার রোহিঙ্গা। এছাড়া অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা।
প্রসঙ্গত, তুর্কী প্রেসিডেন্ট এরদোগান ৩১ আগস্ট প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন। ফোনালাপে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে দু’নেতার আলোচনা হয়। রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলায় বাংলাদেশের নেওয়া পদক্ষেপগুলোর প্রশংসা করেন এরদোগান। একইসঙ্গে রাখাইনে চলমান সহিংসতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশকে পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংস দমন-পীড়নের মুখে রোহিঙ্গারা স্রোতের মতো বাংলাদেশে ঢুকছে। এই পরিস্থিতিকে নজিরবিহীন বলছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। মানবিক সংকটকে গুরুত্ব দিয়ে এরই মধ্যে লাখো রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন