শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

স্বাস্থ্য

থায়রয়েড গ্রন্থির ক্যান্সার

| প্রকাশের সময় : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

হরমোন উৎপাদনকারী (অন্ত:খরা) গ্রন্থিসমূহে ক্যান্সারগুলোর মাঝে থায়রয়েড গ্রন্থির ক্যান্সার হার সর্বোচ্চ। যদিও সব ধরণের ক্যান্সারের হার বিবেচনা করলে, এটি অনেক বেশি হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে থায়রয়েড গ্রন্থির ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা বেড়ে গিয়েছে বলে বিভিন্ন গবেষণা ভিত্তিক প্রকাশনায় জানানো হয়েছে। এটি বেশি সংখ্যক থায়রয়েড ক্যান্সার সনাক্ত করণের সামর্থ বৃদ্ধির জন্য হতে পারে; ক্রমশ: বেশি হারে ক্যান্সারের ঝুঁকিতে নিমজ্জিত হবার কারণেও হতে পারে। প্রতি বছর নতুন থায়রয়েড ক্যান্সারের রোগী সনাক্ত করণের হার পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম। বাংলাদেশ ও ভারতে এটি প্রতি এক লক্ষ মানুষের ক্ষেত্রে দুই থেকে তিন হতে পারে; এবং প্রতি এক লক্ষ মানুষের মধ্যে থায়রয়েড ক্যান্সার জনিত মৃত্যুর সংখ্যা ০.৬। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে থায়রয়েড গ্রন্থির ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা বাড়তে থাকে। কিন্তু থায়রয়েড ক্যান্সার সনাক্ত করণের গুরুত্ব ব্যাপক, কেননা ৪ শতাংশ মানুষের দেহে থায়রয়েড ক্যান্সার হবার মতো নডিউল (গোটা) থাকে; যা সময় মতো সনাক্ত করে চিকিৎসা করলে নিরাময়ের হার প্রায় শতভাগ।
থায়রয়েড ক্যান্সার বিভিন্ন ধরণের হতে পাতে, তবে ফলিকুলার এবং পেপিলারি ক্যান্সারের হার সবচেয়ে বেশি।
থায়রয়েড ক্যান্সারের কারণঃ
থায়রয়েড ক্যান্সার একটি সুস্থ্য থায়রয়েড গ্রন্থি থেকে শুরু হয়। ক্রমশ: কোষগুলো ক্যান্সার কোষে রূপান্তরিত হতে থাকে। অটোইমিউন থায়রয়েডায়েটিস বাদে অন্য কোন বিশেষ ধরণের রোগের সন্ধান পাওয়া যায়নি যা, থায়রয়েড ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। গলগন্ড বা ঘ্যাগ যেসব এলাকায় ব্যাপক হারে দেখা যায় সেসব এলাকায় থায়রয়েড ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকতে পারে বলে ধারণা করা হয়। থায়রয়েড ক্যান্সারে কিছু কিছু ধরণ আছে যা অতি ধীরে বৃদ্ধি পায়, কিছু কিছু আবার একটু দ্রæত বাড়ে। খুব অল্প বয়সে যাদের ঘন ঘন এক্সরে করতে হয়েছে বা রেডিও থেরাপি দিতে হয়েছে তাদের মধ্যে থায়রয়েড ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা বেশি। বংশগতভাবে থায়রয়েড ক্যান্সারের বিস্তার খুবই কম হয়।
থায়রয়েড ক্যান্সারের রোগীরা ক্যান্সারের ধরণ, ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধির হার অধিকাংশ রোগী সাধারণ গলগন্ড বা ঘ্যাগের মতো গলার সামনের অংশের বৃদ্ধিকেই দেখতে পান। গলার আশেপাশের লশিকা গ্রন্থিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে বড় হতে থাকে। কারো কারো গলার স্বর পরিবর্তিত হয়, খুব কম ক্ষেত্রে গলায় ব্যথা হয়।
রোগ সনাক্তকরণ খুব বেশি কঠিন কাজ নয়। থায়রয়েড গ্রন্থির রস নিয়ে পরীক্ষা করলেই রোগটি সনাক্ত করা যায়। আরো অনেক রকম পদ্ধতি আছে।
রোগ সনাক্তকরণের পরে দ্রæত চিকিৎসা নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে অপারেশন করে গ্রন্থিটি সরিয়ে ফেলাটাই সবচেয়ে বড় কাজ। এর পর কারো কারো ক্ষেত্রে রেডিও থেরাপি বা রেডিওএক্টিং আয়োডিন দিয়ে চিকিৎসা করতে হতে পারে।
থায়রয়েড ক্যান্সার চিকিৎসার পরে নির্দিষ্ট সময় পর পর ফলোআপ করতে হয়।

ষ ডাঃ শাহজাদা সেলিম
সহকারী অধ্যাপক, এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ
কমফোর্ট ডক্টর’স চেম্বার
১৬৫-১৬৬, গ্রীনরোড, ঢাকা
মোবাঃ ০১৭৩১৯৫৬০৩৩, ০১৫৫২৪৬৮৩৭৭

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন