আজ (১০ সেপ্টেম্বর) ভোরে আবারো ভূমি মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে মিয়ানমার সীমান্তের তুমব্রু পয়েন্টের নোম্যান্স ল্যান্ডে। এতে একজন বাংলাদেশী যুবকসহ আহত হয়েছে ৫জন রোহিঙ্গা। স্থানীয় সূত্র ও বিজিবি এই স্থল মাইন বিস্ফোরণের কথা স্বীকার করেছে। আহত বাংলাদেশী যুবক আবুল খাইরের ছেলে মোহাম্মদ হাসান (২৬) এর নাম জানা গেলেও তাৎক্ষনিকভাবে আহত রোহিঙ্গাদের নাম জানা যায়নি।
জানা গেছে, হাসান ভোরে তুমব্রু সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডের ভাজাবনিয়ার উত্তরে মোরইঙ্গা খাল পয়েন্টে গেলে কাঁটাতারের পাশে পুতে রাখা ভূমি মাইনটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এতে হাসানের একটি পা ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।
আগে থেকেই অভিযোগ উঠেছে মিয়ানমার সেনারা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে অজস্র ভূমি মাইন পুঁতে রেখেছে। সেনা-পুলিশের নিষ্ঠুর নির্যাতন ও গণহত্যা থেকে পালাতে গিয়েও যেন অসহায় রোহিঙ্গারা বাঁচতে না পারে সেজন্যই নাকি এই ভূমি মাইন পুতে রাখা।
৯০ এর দশকের আগে পরে মিয়ানমার সেনারা সীমান্তে বিদ্রোহ দমনের অজুহাতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের প্রায় ৭০/৮০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে শত শত স্থল মাইন স্থাপন করেছিল। হিউমেন কনসার্ন নামের একটি স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন ও বিআরসিটি নামক একটি মানবাধিকার সংগঠনের যৌথ লেখালেখির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহলের চাপ পড়ে। তখন মিয়ানমার সীমান্তে ভূমি মাইন স্থাপনের কথা স্বীকার করে এবং ওই সময় কিছু ভূমি মাইন তুলে নিতে বাধ্য হয়েছিল।
সম্প্রতি আরাকানে মিয়ানমার সেনারা নতুন করে গণহত্যা শুরু করার পর সীমান্তে আবারো ভূমি মাইন স্থাপনের কথা জানা গেলো। ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মিয়ানমার সীমান্তে ভূমি মাইন বিস্ফোরণে নিরীহ মানুষ হতাহতের ব্যাপারে নিন্দা জানিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন