নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা ঃ নেত্রকোনা সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা ইউনিয়নের ঠাকুরাকোনা গ্রামে কিশোরীকে গণধর্ষণ ও প্ররোচিত আত্মহত্যায় ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ গণমাধ্যম ফেইস বুকে তোলপাড় ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের আন্দোলনের চাপে ঘটনার সাত দিন পর অবশেষে নেত্রকোনা মডেল থানায় মামলা দায়ের করতে পেরেছে তার মা। মামলা দায়েরের একদিন পর পুলিশ সোমবার গভীর রাতে প্রধান আসামী মামুন আকন্দকে জেলার দুর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি বোন লিজার বাড়ী থেকে গ্রেফতার করেছে। ভিকটিমের মা জানান, ঈদের পরদিন গত ৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে ঠাকুরাকোনা গ্রামের তিন তরুণ তার মেয়েকে (১৪) ডেকে সুকৌশলে পাশ্ববর্তী মাছের খামারে একটি ঘরে নিয়ে যান। সন্ধ্যার পর মেয়েকে ঘরে দেখতে না পেয়ে অনেক খোঁজাখুজির পর রাত আটটার দিকে মাছের খামার থেকে আমি মেয়েটিকে উদ্ধার করি। ঘরে এনে তাকে জিজ্ঞাস করলে সে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলে ওই তিন তরুণ তাকে ধর্ষণ করেছে। কিছুক্ষণ পর তরুণদের মধ্যে একজন তাদের ঘরে এসে ঘটনাটি কাউকে জানালে তাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। ঘটনাটি জানাজানি হয়ে পরলে দুঃখে ক্ষোভ পান্না পরদিন সোমবার বেলা ১১টার দিকে পাশের ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও রহস্য জনক কারণে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার না করে একটি ইউডি মামলা দায়ের করে দায়িত্ব শেষ করেন। ভিকটিমের মা থানায় গিয়ে বার বার মামলা দায়েরের চেষ্টা করলেও পুলিশ মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইস বুকে তোলপাড় এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এ ব্যাপারে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম শুরু করলে ঘটনার ৭দিন পর অবশেষে নেত্রকোনা মডেল থানায় মামলা নেয়া হয়। ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ঠাকুরাকোনা এলাকার গফুর আকন্দের ছেলে মামুন আকন্দ, কাজল সরকারের ছেলে জেলা ছাত্রলীগের কৃষি বিষয়ক উপ সম্পাদক অপু সরকার ও মিয়া চানের ছেলে সুলতান মিয়াকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন