মিয়ানমারে ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যার মুখে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য ৫৩ মেট্রিক টন ত্রাণ পাঠিয়েছে ভারত সরকার। বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে করে এসব ত্রাণ এসে পৌঁছায়। ‘অপারেশন ইনসানিয়াত’ নামে এ ত্রাণ সহায়তার প্রথম দফার চালানে চাল, ডাল, বিস্কুট, লবণ, চিনি, সাবান, মশারি ও গুঁড়ো দুধসহ বিভিন্ন পণ্য রয়েছে।
বিমানবন্দরের রানওয়েতে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব ত্রাণ হস্তান্তর করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানান, রোহিঙ্গাদের জন্য পাঠানো ত্রাণে বিভিন্ন পণ্য দিয়ে ১৫ কেজি করে প্যাকেট করা হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে জাহাজ ও বিমানে মোট ৭ হাজার টন ত্রাণ পাঠানো হবে। ত্রাণ গ্রহণকালে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারত বাংলাদেশের দুঃসময়ের বন্ধু। প্রতিটি দুঃসময়ে ভারত বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, ভারত সরকার বাংলাদেশের মানবিক প্রচেষ্টার সমর্থন করতে জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মিয়ানমারে দীর্ঘদিন ধরে জাতিগত নিপীড়নের শিকার হয়ে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা তিন দশক ধরে বাংলাদেশে রয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ আগস্ট রাতে কয়েকটি পুলিশ পোস্ট একটি সেনা ক্যাম্পে হামলার পর ফের দমন অভিযানে নামে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। নির্যাতনের মুখে গত তিন সপ্তাহে প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা নতুন করে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে ইউনিসেফের তথ্য। ভারতীয় ত্রাণ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান, চট্টগ্রামে ভারতের ভারপ্রাপ্ত সহকারী হাই কমিশনার অরুন্ধতী দাশ, জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে মরক্কো সরকারের পক্ষ থেকে পাঠানো ১৪ মেট্রিক টন ত্রাণবাহী বিশেষ একটি বিমান বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সরকারের পক্ষে ত্রাণ সামগ্রী গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) হাবিবুর রহমান। মরক্কোর রাষ্ট্রদূত মো: মজিদ হালিম ত্রাণ সামগ্রী হস্তান্তর করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন