ইদানীং দেশের বিভিন্ন আদালতে একটি মামলা খুব বেশি বেশি দায়ের হতে দেখা যাচ্ছে। আর তা হচ্ছে মানহানির মামলা। অথচ যিনি বা যার মানহানি হয়েছে, তিনি বা তার আপনজন কেউ কিন্তু আদালতে গিয়ে সেই মানহানির মামলাটি দায়ের করছেন না। এক্ষেত্রে মামলাটি দায়ের করছেন সম্পূর্ণ রূপে একজন ভিন্ন ব্যক্তি, যিনি আদৌ সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা ঐ পরিবারটির সঙ্গে সম্পর্কিত নন। আর এক্ষেত্রে রাজনৈতিক অঙ্গনের সঙ্গে জড়িত নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের বেলায় কেবল অতি উৎসাহী কিছু দলীয় কর্মীই এ ধরনের মামলা দায়ের করেছেন। তাই স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে যে, তাহলে এটি কি শুধু দলের নেতা-নেত্রীদের আনুকূল্য পাবার আশাতেই করা হয়ে থাকে? আর এতে যখন তখন যার তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের আশঙ্কা থেকেই যায়। তাই আমরা যারা সাধারণ মানুষ, যারা আইনের মারপ্যাচ বুঝি না, তারা মানহানির মামলা দায়ের ক্ষেত্রে সঠিক আইন সম্পর্কে দেশের আইনজ্ঞ ব্যক্তিবর্গের মতামত জানতে চাই। এ ব্যাপারে দেশের পত্র-পত্রিকা ও রেডিও টিভিতে বিস্তারিতভাবে প্রচার প্রচারণা চালালে নিশ্চই আমাদের সাধারণদের বিশেষ উপকার হতো।
মো. শহীদুর রহমান,
কাকিনা, লালমনিরহাট।
ধাতব মুদ্রার বিড়ম্বনা
সরকার ধাতব মুদ্রা ও ছেঁড়া নোট গ্রহণের জন্য সকল বাণিজ্যিক ব্যাংককে নির্দেশ দিলেও তা ঠিকমতো মানা হচ্ছে না। এই মুদ্রা খুচরা দোকানদার থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীদের হাত ঘুরে ব্যাংকের কাছে আসে। এক একজন পাইকারি ভোগ্যপণ্য ব্যবসায়ী প্রতিদিন কেনাবেচার মাধ্যমে খুচরা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে হাজার টাকার ধাতব মুদ্রা পেয়ে থাকেন। কাগজের নোটের পাশাপাশি ধাতব মুদ্রা ব্যাংকে জমা দিতে পারলে স্থানীয় বাজারগুলোতে ধাতব মদ্রার লেনদেন স্বাভাবিক হতো। কিন্তু বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখাগুলো ধাতব মুদ্রা গ্রহণ না করার পাইকারি ব্যবসায়ীরা মহা বিপাকে পড়েছেন। পাশাপাশি পাইকারি ব্যবসায়ীরা নতুন কয়েন গ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে গ্রাহক পর্যায় ধাতব মুদ্রা নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। এ অবস্থায়, বাণিজ্যিক-ব্যাংকের সকল শাখায় কয়েন গ্রহণের ব্যাপারে সরকারের নির্দেশ যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হোক।
মো. রেদোয়ান হোসেন,
বঙ্গবন্ধু, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, টাঙ্গাইল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন