চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, আইন পেশা মহৎ একটি পেশা। এ পেশার মধ্য দিয়ে অধিকার প্রাপ্তির বিষয়টি সহজতর হয়। মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম নগর বাংলাদেশের জন্য একটি উৎকৃষ্ট নৈসর্গিক শহর। সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও মহৎ উদ্যোগের অভাবের কারণে প্রাচ্যের রানী চট্টগ্রামের নান্দনিকতা ও গুরুত্ব ধীরে ধীরে কমে যায়। তিনি বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের সাত মাসের মধ্যেই চেষ্টা করেছি নগরীর গৌরব ও ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে। গতকাল (সোমবার) চসিক সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটি ও সম্মিলিত কর আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ এবং নেতৃবৃন্দ সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়কালে মেয়র এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, পোর্ট সিটি ও বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রামের গুরুত্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে গ্রিন ও ক্লিন সিটির ভিশন গ্রহণ করে বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, নগরীর পরিবেশ ও সৌন্দর্য বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে রাতে আবর্জনা অপসারণ করা হচ্ছে। এছাড়াও ডোর টু ডোর আবর্জনা সংগ্রহ করে অপসারণে পাইলট প্রকল্প অচিরেই গ্রহণ করা হবে। দুর্গন্ধমুক্ত ও সুন্দর পরিবেশে নগর জীবন অতিবাহিত করার কর্ম-পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়িত হচ্ছে। মেয়র বলেন, নগরীর আইল্যান্ড, ফুটপাত ও গোল চত্বরগুলোকে বিউটিফিকেশনের আওতায় সবুজ করা হবে। কর্পোরেট হাউসগুলোকে নাগরিক সেবায় অংশগ্রহণেরও সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া হবে। সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, নগরীর পানিবদ্ধতা সহনীয় পর্যায়ে আনায়নের লক্ষে নগরীর সবগুলো খাল ও নালার মাটি এবং আবর্জনা অপসারণ করা হচ্ছে।
মতবিনিময়ে কর আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি কে এম জয়নাল আবেদীন, সাধারণ সম্পাদক নূরুল কায়ছার বেলাল, সাবেক সভাপতি এডভোকেট মো. আবুল বাশার তালুকদার, আলী আহমদ নাজির, বদিউজ্জামান, জয়শান্ত বিকাশ বড়–য়া, কর আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা মোল্লা, আসহাব উদ্দিন, নুরুল ইসলাম, কর আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জয়নাল আবদীন, নূর হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি এনায়েত উল্লাহ, কর আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন