ফুলপুর (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা : ময়মনসিংহের ফুলপুর পৌর শহরের দিউ এলাকা থেকে গত বৃহ¯পতিবার এক অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের লাশ উদ্ধার করে ফুলপুর পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পর পুলিশের তৎপরতায় তার পরিচয় মিলেছে। সে পার্শবর্তী তারাকান্দা উপজেলার পাইন্নেবর গ্রামের ইদ্রিস আলীর পুত্র আজিজুল। এ ঘটনায় আটকৃত সন্দেহভাজন রঙমিস্ত্রী বাবুল মিয়াই তার হত্যাকারি। বাবুল মিয়া ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ফুলপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার ইঞ্জিনিয়ার সাখের হোসেন সিদ্দিকী ও ফুলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আলী আহাম্মদ মোল্লা ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামিকে গ্রেফতার ও মরদেহের পরিচয় এবং আসামীর স্বীকারোক্তি আদায় করেছে। জানা যায়, গত বৃহ¯পতিবার সকালে পৌর শহরের দিউ এলাকার একটি ভিটা থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবকের (২৮) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের পাশে লাকড়ির উপর দুটি শার্ট, একটি লুঙ্গি ও এক জোড়া জুতা ছিল। পুলিশ জানান যে, লাশের পাশে থাকা দুটি শার্টের একটি হলো ওই রাতে চুরে যাওয়া বাড়ির মালিক বাবুল মিয়ার।পরে ঘটনাস্থলে বাবুল মিয়ার পড়ে থাকা শার্টকে সন্দেহ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পিবিআই বাবুল মিয়া (৩৩)কে আটক করে।
ফুলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আলী আহাম্মদ মোল্লা জানান, বাবুল মিয়া বুধবার রাতে স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে খড়িয়া নদীতে মাছ ধরতে যায়। মাছধরা শেষে বাড়িতে এসে ঘরে ঢোকার সময় আজিজুলকে অগোচালো অবস্থায় শার্ট কাঁধে ফেলে লুঙ্গি পরতে পরতে ঘর থেকে বাহির হতে দেখে। এতে বাবুলের সন্দেহ হয় আজিজুলের সাথে তার স্ত্রীর পরকীয়া রয়েছে। এই সন্দেহের জেরেই আজিজুলকে গলাটিপে হত্যা করে লাশ বাড়ির অদূরে ভিটায় ফেলে আসে।এরপর আশপাশের দুইঘর ও তার নিজের ঘরে সিঁধ কেটে পরিকল্পিতভাবে চুরির নাটক সাজায় বাবুল। গ্রেফতারকৃত বাবুল মিয়াকে ময়মনসিংহের বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট রোজিনা আক্তারের আদালতে প্রেরণ করলে১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তবে পুলিশ আজিজুল এখানে কেন এসেছিল বা এই হত্যাকাÐের সাথে আরো কেউ জড়িত কিনা তাও খতিয়ে দেখছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন