স্টাফ রিপোর্টার : পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা বাতিলসহ আইন করে শিক্ষাক্ষেত্রের অনিয়ম Ñ কোচিং ও শিক্ষাবাণিজ্য নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে অভিভাবকদের সংগঠন ‘অভিভাবক ঐক্য ফোরাম’। গতকাল (মঙ্গলবার) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ এই দাবি জানায়। সংগঠনের সভাপতি জিয়াউল কবির বলেন, ‘শিক্ষাক্ষেত্রে অনিয়ম-দুর্নীতি, অবৈধ ভর্তি-কোচিং ও শিক্ষাবাণিজ্য মহামারী রূপ নিয়েছে। নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি নীতিমালা উপেক্ষা করে টাকার বিনিময়ে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করানোর অভিযোগ উঠছে।’এজন্য আইন করে কোচিং ও শিক্ষা বাণিজ্য নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারি নীতি-নির্ধারকদের পরামর্শে ২০০৯ সালে সমাপনী পরীক্ষা চালু করা হয়। গত ৭ বছরের মূল্যায়নে শিক্ষার্থীদের কাক্সিক্ষত সুফল বয়ে আনতে পারেনি এ পরীক্ষা। বরং এর নেতিবাচক দিকগুলো অভিভাবকদের শঙ্কিত করে তুলেছে। এজন্য ২০১৮ সাল থেকে এই পরীক্ষা বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। সমাপনী পরীক্ষা অপ্রয়োজনীয় ও মূল্যহীন উল্লেখ করে কবির বলেন, এই পরীক্ষার যাঁতাকলে কোমলমতি শিশুরা বনসাই হয়ে বেড়ে উঠছে। পরীক্ষার নামে শিশুরা আতঙ্কগ্রস্থ। এই পরীক্ষা তাদের মূল্যবান সময় ও আনন্দময় শৈশব কেড়ে নিচ্ছে। আর এ পরীক্ষাকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে কোচিংবাজ শিক্ষকেরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চালু করা হয়েছে বাধ্যতামূলক কোচিং ব্যবসা। স্কুলগুলো পরিণত হয়েছে কোচিং সেন্টারে। তাই ২০১৮ এর পরিবর্তে ২০১৬ সাল থেকেই এই পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানানো হয়। দাবি আদায়ে সংগঠনটির পক্ষ থেকে ১৬ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-১৬ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান, ১৭ মার্চ থেকে ২৪ মার্চ স্কুলে স্কুলে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ, ২৫ মার্চ সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন এবং ২ এপ্রিল মতবিনিময় সভা। এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনে সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান, সহ-সভাপতি সেলিম উদ্দিন, ফাহিম উদ্দিন, সদস্য শওকতউল আলম, আব্দুস সোবাহান, সোহেলী আক্তার তানি প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন