গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) উপজেলা সংবাদদাতা : নদী ভাঙনকবলিত উপজেলার একমাত্র চিকিৎসাকেন্দ্র গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ৫০ শয্যার এ হাসপাতালে দালাল চক্র চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনদের বিভ্রান্ত করে নানা বিড়ম্বনায় ফেলছে। এতে করে রোগীদের একদিকে যেমন অর্থ অপচয় হচ্ছে অপর দিকে সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার একমাত্র চিকিৎসাস্থল এ হাসপাতাল। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪ থেকে ৫শ’ রোগী বহির্বিভাগ ও আন্তঃবিভাগে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। সূত্র মতে, কোনো রোগী এখানে এলে দালাল চক্রের সদস্যরা বিভিন্নভাবে তাদের বড় বড় ডাক্তারের কথা বলে রাজবাড়ী ও ফরিদপুরের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যায়। এছাড়া উন্নত চিকিৎসার জন্য কোনো রোগীতে কর্তৃপক্ষ স্থানান্তর করলে দালাল চক্রটি ওই রোগীকে বিভিন্ন কথা বলে সরকারি হাসপাতালে না যেতে দিয়ে ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে ভর্তি হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে মোটা অঙ্কের বিল করিয়ে ৫০ শতাংশ টাকা ক্লিনিক মালিকদের কাছ থেকে বাগিয়ে নেয়। সম্প্রতি সামি নামের এক শিশু খাৎনা- পরবর্তী ইনফেকশন নিয়ে হাসপাতালে এলে তাকে জরুরিভাবে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু লিয়াকত নামের এক দালাল প্রথমে তাকে বিশেষ এক ডাক্তারের কাছে যেতে উদ্বুদ্ধ করতে চেষ্টা করে। পরে সামির অভিভাবকরা রাজি না হলে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে ফরিদপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা বিল করায়। এক রোগীকে নিয়ে দুই দালালদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা পর্যন্ত এখানে ঘটেছে। এ চক্রের ব্যাপক তৎপরতায় কার্যত জিম্মি হয়ে পড়েছেন সাধারণ রোগীরা। তাদের সঙ্গে হাসপাতালের কিছু অসাধু কর্মচারীও জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন