প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে ‘গৃহবন্দি’ করে রাখা হয়েছে দাবি করে বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, এর মাধ্যমে সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতার মৃত্যু ঘটিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সেমিনারে তিনি এই মন্তব্য করেন।
‘নগ্ন দলীয়করণে বিপর্যস্ত শিক্ষা ব্যবস্থা’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট। মওদুদ আহমদ বলেন, ‘ষোড়শ সংশোধনীর রায়কে কেন্দ্র সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা যে ভাষায় কথা বলেছেন, তার নজির পৃথিবীর কোথাও নেই। এখন তার অসুস্থতার কথা বলে তার অসম্মতিতে এক মাসের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ কিছু দিন আগে তিনি জাপান, কানাডা থেকে ঘুরে এসেছেন। তিনি সুস্থ একজন মানুষ।’
এস কে সিনহার যে চিঠি আইনমন্ত্রী গণমাধ্যমকে দেখিয়েছেন সেটিকে ‘ভুয়া চিঠি’ অভিহিত করে বিএনপির এই নীতি নির্ধারক বলেন, ‘চিঠিতে পাঁচটি বানান ভুল। এই ভুল চিঠি দেখে কোনো প্রধান বিচারপতি স্বাক্ষর করতে পারেন না। তা ছাড়া তিনি সচরাচর যে স্বাক্ষর করেন তার সঙ্গে ওই চিঠির স্বাক্ষরে মিল নেই।’
‘লজ্জা লাগে রাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায় থেকে এই ধরনের ভুয়া ও জালিয়াতি তথ্য জনগণকে দেওয়া হয়। কিন্তু মূলত তিনি ছুটি চাননি। এতে সম্মতও ছিলেন না।’
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কাউকে সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হচ্ছে না-অভিযোগ করে প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, ‘আইনজীবীরা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে বলা হয়েছে তিনি অসুস্থ। তার আত্মীয় স্বজনকেও দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। তার বাসার টেলিফোন লাইনটিও বিচ্ছিন্ন। তাকে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে।’
সেমিনারে অংশ নিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি ছুটি নেননি। তাকে দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে বাধ্য করা হয়েছে। বন্দুকের নল দিয়ে তাকে (প্রধান বিচারপতি) আটকে রাখা হয়েছে অথবা এখন কোন পরিবেশে তিনি রয়েছেন আমরা জানি না।’
আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান, শিক্ষাবিদ ড. সদরুল আমিন, সাংবাদিক আবদাল আহমেদ, শিক্ষক নেতা বাহাউদ্দিন বাহার প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন