স্টাফ রিপোর্টার : ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইকাও) এর প্রতিবেদনে বালাদেশের সিভিল এভিয়েশনের মান ৭৭ দশমিক ৪৬-এ উন্নীত হয়েছে । ফলে এভিয়েশন খাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ১৯২ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশর অবস্থান প্রথম ৩০ টি দেশের মধ্যে উন্নিত হয়েছে। এছাড়া শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি কার্গো বিমান পরিবহনের ওপর যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জোড় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। এ লক্ষ্যে রেড লাইনসহ সিভিল এভিয়েশনের সংশ্লিষ্ট সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচানীদের নিয়ে বৈঠক ও কর্মশালার উদ্যোগ নিয়েছেন সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম নাইম হাসান।
সিভিল এভিয়েশনের জনসংযোগ বিভাগ জানায়,বর্তমানে এভিয়েশন মানে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সূচক ৭১। আর নেপাল ৬২ ও ভুটানের ৫৭। শুধু প্রতিবেশী দেশগুলো নয়, এভিয়েশন কান্ট্রি মানের সূচকে এখন বাংলাদেশের নিচে রয়েছে কাতার (সূচক ৬৭), রাশিয়া (সূচক ৭০), মালয়েশিয়া (সূচক ৭২), ইন্দোনেশিয়া (সূচক ৬৮) এবং কুয়েতের (সূচক ৬৯) মতো এভিয়েশন খাতে অগ্রগামী দেশগুলোও। আইকাওর অন্তর্ভুক্ত দেশের মধ্যে মাত্র ৩৫টির এভিয়েশন কান্ট্রি মানের সূচক ৭৫-এর বেশি। আর সূচক ৭৭ অতিক্রম করেছে, এমন দেশের সংখ্যা ৩০টির বেশি নয়। সিভিল এভিয়েশন জানায়,বর্তমানে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) ৭৭ দশমিক ৪৬-এ উন্নীত করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইকাও) এর আদর্শ মান অনুযায়ী, কোনো দেশের সূচক ৬০-এর ওপর হলে সে দেশের এভিয়েশন খাতকে সন্তোষজনক মানের বিবেচনা করা হয়। ২০১২ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৫০ দশমিক ২। আইকাওর টেকনিক্যাল কমিটির অডিট টিম গত ২৭ সেপ্টেম্বর এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন বেবিচকের কাছে হস্তান্তর করেছে। নিরাপত্তা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাপনা, কারিগরি সুবিধা সর্বপরি প্রতিটি দিক ও বিভাগে পেশাদারিত্বের বিষয়টি বিবেচনায় আইকাও প্রতিটি দেশেরই এভিয়েশন খাতের মান নির্ধারন করে থাকে। কোনো দেশের সূচক মান ৬০-এর ওপর থাকলে সে দেশের এভিয়েশন খাতকে সন্তোষজনক বিবেচনা করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন