বিশেষ সংবাদদাতা,যশোর ব্যুরো : যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ছাত্রাবাসে মধ্যরাতে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম শামীম হাসানসহ সাত জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের ও ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর সম্মেলন কক্ষে রিজেন্ট বোর্ডের জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।
অপরদিকে শনিবার দুপুরে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে হামলায় জড়িতের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন যবিপ্রবির ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এসএম শামীম হাসান। তিনি ওই ঘটনায় ছাত্রলীগ সভাপতি সুব্রত বিশ্বাস ও তার অনুসারীদের অভিযুক্ত করেছেন। তিনি ঘটনার নেপথ্যে জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতার ইঙ্গিত করেন সাংবাদিক সম্মেলনে। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওই নেতার নাম বলেননি। সাময়িক বহিস্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, যবিপ্রবির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী এস এম শামীম হাসান ও বিপ্লব কুমার দে শান্ত, পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী তানভির ফয়সাল, শারীরিক শিক্ষক ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্র্থী মো. আল মামুন সিমন ও মো. মাসুদুর রহমান রনি এবং পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী তানভির আহমেদ তানিন ও আশিক খন্দকার। বহিস্কৃতরা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক এসএম শামীম হাসানের অনুসারী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন