আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলায় যে সাহসের পরিচয় দিয়েছেন, তাই তিনি দুনিয়ায় বিপন্ন মানবতার বাতিঘরে পরিণত হয়েছেন। তাই এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার সকালে জাতিসংঘ সফর শেষে দেশে ফেরার পর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জাতিসংঘে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকারের জোরালো অবস্থান তুলে ধরা এবং আন্তর্জাতিক মহলে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান প্রশংসিত হওয়ায় তাকে গণসংবর্ধনা দেয়ার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে তিন সপ্তাহের সফর শেষে গতকাল সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। বিমানবন্দরে সরকারের মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের নেতা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মানবতার বাতিঘর শেখ হাসিনা। তার জন্যই এতোগুলো মানুষ আশ্রয় পেলো, নতুন জীবন পেলো। তিনি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জাতিসংঘেও পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেছেন। দেশে ফিরে এসেছেন, আপনাকে অভিনন্দন।
শেখ হাসিনার কমিটমেন্টের উদাহরণ দিতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের পদ্মা সেতু তার সাহসী নেতৃত্বের সোনালী ফসল। সেই পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হওয়ার দিন আমরা তাকে মিস করছিলাম। তিনি সেদিন ছিলেন না। আমরা তাকে বার বার বলেছিলাম উদ্বোধনের সময় পিছিয়ে দেই। উদ্বোধনের সময় আপনি থাকবেন না তা কেউ মেনে নিতে পারছে না। আপনি দেশে এসে উদ্বোধন করেন। কিন্তু তিনি আমাকে বললেন, আমার জন্য যেন পদ্মা সেতুর কাজ এক মিনিটও বিলম্ব না হয়।
শেখ হাসিনা আমাদের প্রেরণা উল্লেখ করে কাদের বলেন, ইউ হ্যাভ মেইড এ্যাজ লুক ব্রাইটার, ইউ হ্যাভ মেইড এ্যাজ ফিল ফিল প্রাউড। ইউ হ্যাভ মেইড এ্যাজ স্ট্যান্ড ওভার। ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ‘বিপন্ন মানবতা বাতিঘর’, ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’, দেশরতœ শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা আপনাকে অভিনন্দন।’
যুক্তরাষ্ট্রে ১৬ দিনের সরকারি সফর শেষে শেখ হাসিনা দেশের পথে গত সোমবার লন্ডনের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ত্যাগ করেন। শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে যোগ দিতে ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক পৌঁছেন। সাধারণ পরিষদের অধিবেশন যোগদান শেষে ২২ সেপ্টেম্বর তিনি নিউইয়র্ক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন সফরে যান।
ওয়াশিংটনে এক সপ্তাহ অবস্থানের পর ২ অক্টোবর লন্ডন হয়ে তার দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু ২৫ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রীর গলবøাডারে অস্ত্রোপচারের কারণে তার দেশে ফেরা বিলম্ব হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন