রাজধানীর হাতিরঝিলে অবৈধভাবে তৈরি করা বিজিএমই ভবনটি ভাঙার জন্য শেষবারের মতো সাত মাসের সময় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আজ রবিবার বেলা পৌনে ১২ টার দিকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আব্দুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে আজ সকালে বিজিএমইএ ভবনটি ভাঙার জন্য আরও এক বছর সময় চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষ হয়।
বিজিএমইএ’র পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী এবং রাজউকের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
পোশাক রপ্তানিকারক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ভবনটি ভাঙার জন্য আরও এক বছর সময় চেয়ে গত ২৩ আগস্ট আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদনটি করে। গত ১১ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত আবেদনটির শুনানির জন্য ৫ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। কিন্তু ওইদিনের কার্যতালিকায় আবেদনটি দেখা যায়নি।
এর আগে বিজিএমইএর আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম জানান, বিজিএমইএ ভবন থেকে সরতে আরও এক বছর সময় চেয়েছে। কারণ রাজউক জমি দিয়েছে, এখন সবকিছু প্রক্রিয়াধীন আছে। তাই সময় চেয়ে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করা হয়েছে।
বিজিএমইএর আরেক আইনজীবী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ভবন থেকে সবকিছু শিফট করতে অনেক সময় প্রয়োজন। সবকিছু এখন প্রক্রিয়াধীন। তাই আদালতে সময় চেয়েছি।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল বিজিএমইএ ভবন ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলার রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই বছরের ১৯ মার্চ ৬৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়। এরপর ২১ মে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। একই বছরের ২ জুন বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষের করা আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) খারিজ করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
৮ নভেম্বর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। এরপর ৮ ডিসেম্বর রিভিউ আবেদন করে বিজিএমইএ, যাতে আপিল বিভাগের রায় স্থগিত করে বহুতল ভবনটি ভেঙে ফেলার জন্য তিন বছরের সময় চাওয়া হয়।
এ বছরের ১২ মার্চ এ আবেদনের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ ভবনটি ভাঙতে ছয় মাস সময় দেন। কিন্তু ভবনটি সরানোর চেষ্টা করেনি বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে ২৩ আগস্ট আরও এক বছরের সময় চেয়ে আবেদন করে বিজিএমইএ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন