বিশেষ সংবাদদাতা, খুলনা : খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) সাময়িক বরাখস্তকৃত মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি, কাউন্সিলর শেখ মোঃ গাউসুল আযম, কেএম হুমায়ুন কবিরসহ ৬ জনের (অস্থাবর সম্পত্তি) মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরে খুলনা মুখ্য মহানগর হাকিম এমএলবি মেজবাহউদ্দিন নাশকতার একটি মামলায় পলাতক থাকায় আসামীদের বিরুদ্ধে এ আদেশ দেন।
আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেয়া হয়েছে পলাতক আসামী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি, ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মোঃ গাউসুল আযম, ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কেএম হুমায়ুন কবির, মোঃ শাহিন, মোঃ গাউস, মহানগর ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফরাজীর বিরুদ্ধে। খুলনা সদর থানা পুলিশকে পলাতক আসামীদের অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২ নভেম্বর কেসিসি মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোঃ আব্দুর রউফ মিয়া স্বাক্ষরিত এক ফ্যাক্স বার্তা গত বছরের ২ নভেম্বর বিকালে কেসিসি কার্যালয়ে পৌঁছেছে। তার বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানার দু’টি মামলার অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত হওয়ায় তাকে বরখাস্ত করা হয় বলে ফ্যাক্স বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছিল। নির্বাচিত হওয়ার পর দু’বছর এক মাস ৮ দিনের মাথায় তিনি বরখাস্ত হলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, কেসিসি মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি’র বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর খুলনা সদর থানায় ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়। গত বছরের ৩০ এপ্রিল ওই মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়। গত বছরের ৪ জানুয়ারি খুলনা সদর থানায় তার বিরুদ্ধে অপর একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়। চলতি বছরের ৩১ মে ওই মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়। স্থানীয় সরকার আইন-২০০৯ (২০০৯-এর ৬০ নম্বর আইন) এর ধারা-১২ এর উপ-ধারা (১) মোতাবেক সিটি কর্পোরেশন মেয়রের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার অভিযোগপত্র আদালত কর্তৃক গৃহীত হলে তাকে সাময়িক বরখাস্তের বিধান রয়েছে। ওই একই আইনের ১২ এর উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন