শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নির্যাতিত অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে উদ্ধার করলেন ইউএনও

প্রকাশের সময় : ১৭ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

গঙ্গাচড়া (রংপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বামী কর্তৃক ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে অমানবিক নির্যাতন করে ঘরে আটক রাখে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনার ৪ দিন পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাশেদুল হক (ভারপ্রাপ্ত) ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। এ ঘটনায় এলাকায় আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের দক্ষিণ পানাপুকুর গ্রামে।
জানা যায়, উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের দক্ষিণ পানাপুকুর গ্রামের মৃত্যু ছকির উদ্দিনের পুত্র এনামুল হক (২৫) তার স্ত্রী ১ পুত্র সন্তানের জননী ও ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী তাসমিনা (২০)-কে গ রোববার তার ভাইকে তামাক শুকানোর জন্য ঘর থেকে দড়ি দিতে বলে। স্ত্রী স্বামীর কথামত দড়ি দিতে দেরি করায়, স্বামী এনামুল ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রী তাসমিনাকে অমানসিক নির্যাতন করে মুখের দাঁত ভেঙে দেয়। নির্যাতনে তাসমিনা জ্ঞান হারিয়ে ফেললেও এনামুল স্ত্রীর কোন রকম চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে ঘরের মধ্যেই আটকে রাখে।
পরে তার জ্ঞান ফিরে এলে এনামুল স্ত্রীকে গালিগালাজ করে ওই ঘরেই বিনা চিকিৎসায় ৪ দিন ধরে আটকে রাখে। দিন দিন তাসমিনা বেশী অসুস্থ হয়ে পড়লে, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রাশেদুল হক ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহনাজ ফারহানা আফরোজা জানতে পেরে গতকাল তারা পুলিশ নিয়ে ওই নির্যাতনকারী স্বামীর বাড়ি গিয়ে অসুস্থ অবস্থায় তাসমিনাকে উদ্ধার করে গঙ্গাচড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান।
তাসমিনাকে উদ্ধারের সময় এনামুল প্রশাসন ও পুলিশকে দেখে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে তাসমিনার মা জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রাশেদুল হক বলেন, তাসমিনাকে তার স্বামী নির্যাতন করে বিনা চিকিৎসায় ৪ দিন ধরে ঘরে আটকে রেখে অন্যায় কাজ করেছে। আমি বিষয়টি জানতে পেরে অসুস্থ তাসমিনাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করাই। এছাড়া তার স্বামীর বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন