বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

শাহ আমানতে আটকে থাকা পণ্যের ডেমারেজ মওকুফের দাবি

প্রকাশের সময় : ১৭ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ব্যাগেজ রুলের আওতায় আসা আইনি জটিলতায় আটকে থাকা পণ্যের ডেমারেজ মওকুফের দাবি জানিয়েছেন নেতারা। ইউনিটপ্রতি সাড়ে ৩ টাকা আদায় করে প্রবাসীদের মালামাল খালাসের সুযোগ করে দেয়ারও দাবি জানান তারা। গতকাল (বুধবার) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনের সভাপতি মো. আনোয়ারুল আশরাফ চৌধুরী। এ সময় অ্যাসোসিয়েশনের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পণ্যগুলো বিমানবন্দরে আটকে থাকার কারণে মধ্যপ্রাচ্যের ৭টি স্টেটে কার্গো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত প্রবাসীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এসব মামলায় বেশ কয়েকজন জেলে আছে, অনেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। বিষয়টি সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি সৈয়দ মুসলেহ উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী সব সময় প্রবাসীদের খোঁজখবর রাখেন এবং প্রবাসীদের সোনালি মানুষ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রবাসীদের এই সমস্যা কেবল আপনিই সমাধান করতে পারেন। প্রবাসীদের প্রতি সহমর্মিতা ও সহনশীল হয়ে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের ওয়্যার হাউজের জরিমানা মওকুফে আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। লিখিত বক্তব্যে আনোয়ারুল আশরাফ বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে প্রায় ৫০ লাখ প্রাবাসী বাংলাদেশি বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত। অধিকাংশই নিম্ন আয়ের। ফলে নিয়মিত দেশে আসতে পারেন না। তাই পরিবারের চাহিদা মেটাতে তারা প্রয়োজনীয় কিছু দ্রব্য পাঠান। কিন্তু চার মাস ধরে এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রবাসীদের পরিবার।
নিয়মিত শুল্ককর পরিশোধ করার পরও পণ্যমূল্যের চেয়ে বেশি ওয়্যার ডেমারেজ চার্জ দিতে হচ্ছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বল্প আয়ের প্রবাসীরা তাদের রক্ত-ঘামে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার মাধ্যমে তাদের পরিবার-পরিজনের জন্য পাঠানো মালামাল অতিরিক্ত জরিমানা দিয়ে খালাস করতে আর্থিকভাবে অপারগ।
কারণ ওই মালামালগুলোর নিয়মিত শুল্ককর পরিশোধ করার পরও পণ্যমূল্যের চেয়ে বেশি ওয়্যার ডেমারেজ চার্জ দিতে হচ্ছে। চার্জ কম নিয়ে মালামাল খালাসের আবেদন করার পরও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কোনো সাড়া দেয়নি। অথচ যদি এসব মালামাল অতিদ্রুত খালাস না করে তাহলে নষ্ট হয়ে যাবে।
চক্রবৃদ্ধি হারে ডেমারেজ চার্জ মওকুফ করে ওয়্যার হাউজের নিয়মিত চার্জ প্রতি ইউনিট সাড়ে ৩ টাকা হারে আদায় করে প্রবাসীদের মালামাল খালাসের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানানো হয়। বিগত চার মাস ধরে প্রায় ৬০ টন পণ্য আটকে ছিল। সম্প্রতি প্রবাসীরা প্রায় ২০০ টন পণ্য খালাস নিয়েছে। আরো ৪০০টন পণ্যে ৫ কোটি টাকার বেশি ডেমারেজ এসেছে। যা পণ্য মূল্যের দ্বিগুণের চেয়েও বেশি।
ফলে এসব পণ্য খালাস নিতে পারছে না প্রবাসীরা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে ইউএই কার্গো ওনার্স অ্যাসোসিয়েশননের সাধারণ সম্পাদক মো. আযম তালুকদার, প্রচার সম্পাদক মো. খোরশেদুল আলম, প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এসএম মঈনুল হোসাইন মঈন, প্রচার সম্পাদক মো. আবু তাহের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন